লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার নুরুল্লাপুর সড়কের খালের ওপর সেতুটি আট দিন আগে ভেঙে পড়ে।এতে ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ দুর্ভোগে পড়েছেন ২০ হাজার মানুষ। পিলারের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে সেতুটি ধসে যায় বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার নুরুল্লাপুর সড়ক হয়ে একমাত্র পাকা সেতুটি ২০ হাজার মানুষ ব্যবহার করে আসছিলেন। সেতুটি ভেঙে রোববার বিকেলে খালে ধসে পড়ায় জেলা শহরের সঙ্গে যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, সেতু ভেঙে যাওয়ায় বিদ্যালয়ে ক্লাসে উপস্থিত হতে বিলম্ব হচ্ছে এবং ঝুঁকি নিয়ে নৌকা দিয়ে পারাপার হচ্ছে তারা।
শিক্ষকরা জানান, সেতু ভেঙে যাওয়ায় দুই কিলোমিটার ঘুরে বিদ্যালয়ে আসতে গিয়ে কমে গেছে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ জানান, ২৫ বছর আগে ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ওয়াপদা খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। গত কয়েক বছর ধরে খালে ঝুঁকে ছিল সেতুটি। তখন বিষয়টি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অফিসকে অবহিত করা হয় কয়েকবার। এখন সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ ২০ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
চর শাহী ইউপি চেয়ারম্যান গোলজার মোহাম্মদ জানান, নুরুল্লাপুর সড়কের ওপর ওয়াপদা খালের সেতুটি ভেঙে পড়ায় রাজাপুর,খাগুড়িয়া,দিঘলী,দক্ষিণ নুরুল্লাপুর, সাঙ্কিভাঙ্গা এলাকার বাসিন্দারা জেলা শহর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। তবে সেতুটি নির্মাণে টেন্ডারের পর ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হলেও কার্যাদেশ না দেওয়ায় কাজ শুরু হয়নি।
লক্ষ্মীপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম রশিদ আহাম্মেদ জানান, নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের জন্য টেন্ডার দেওয়া হয়েছে, নিয়োগ হয়েছে ঠিকাদারও। তবে চূড়ান্ত অনুমোদন এলেই এক মাসের মধ্যে কার্যাদেশ দেওয়া হবে।
তবে কাজ শুরুর আগে ডাইভারশন রোড নির্মাণ করা হবে, যাতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা স্বাভাবিক চলাচল করতে পারেন।