চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচালে পরিবার পরিকল্পনা অফিসের তালা ভেঙ্গে মালামাল বাইরে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে নাচোলের (ভারপ্রাপ্ত) ইউএইচএফপিও সুলতানা পাপিয়ার বিরুদ্ধে। তিনি কোনোরকম দাপ্তরিক নোটিশ ছাড়াই হাসপাতাল ক্যাম্পাসে চলমান অন্য একটি দপ্তরের তালা ভেঙ্গে অফিসিয়াল কাগজপত্র, আলমিরাসহ টেবিল-চেয়ার ও অন্যান্য মালামাল তছনচ করে ঘরের বাইরে ছুড়ফেলার অভিযোগ উঠেছে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত কর্মকর্তা হলেন, নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুলতানা পাপিয়া। এ ঘটনায় নাচোল উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সাদিকুল ইসলাম ৮ মার্চ রোববার উপপ/নাচ/চাঁ-নবাব/২০২০/৮৬নং স্মারকপত্রে বিষয়টি জেলা পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক বরাবর লিখিতভাবে অবহিত করেছেন। ওই পত্রের অনুলিপি প্রদান করেছেন, সিভিল সার্জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং নাচোল উপজেলা চেয়ারম্যান, নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কর্মকর্তা ইন্চার্জ নাচোল থানা। জানা গেছে, নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবনে এমও (এমসিএইচ-এফপি) নিয়ন্ত্রিত একটি কক্ষে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের ফাইলপত্র, আলমিরা ও বেশ কিছু ওষুধপত্র নিরাপত্তা জনিত কারণে রাখা ছিল। কিন্তু ৮ মার্চ রোববার সকালে ইউএইচএফপিও সুলতানা পাপিয়া হাসপাতালের সুইপার সঞ্জয়কে দিয়ে ওই কক্ষের তিনটি তালা ইলেকট্রিক মেশিন দিয়ে তালা কেটে ঘরে রক্ষিত অফিসিয়াল ফাইলপত্রসহ সব মালামাল ও ওষুধপত্র তছনচ করে ঘরের বাইরে বারান্দায় ফেলে দেয়। এ বিষয়ে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাদিকুল ইসলাম বলেন, তালা ভেঙ্গে বাইরে মালামাল ফেলে দেয়ার বিষয়টি রোববার অফিস চলাকালীন সময়ে জানতে পেরে ওই কক্ষে ছুটে যাই। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান অফিসিয়াল কাগজপত্র, ওষুধ ও আসবাবপত্র ঘরের বারান্দায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এরপর বিষয়টি নিয়ে যথযথ কর্তৃপক্ষের পরামর্শে লিখিতভাবে উপপরিচালক মহোদয়কে অবহিত করার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দপ্তরে অনুলিপি প্রেরণ করেছেন। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুলতানা পাপিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে হাসপাতালের অভ্যন্তরিন বিষয় বলে তিনি কোন বক্তব্য দিতে রাজি হন নি। তবে এক পর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ইউএনও মহোদয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভিভাবক, এ বিষয়ে যা বলার উনারাই বলবেন। এদিকে এ ঘটনায় ৯ মার্চ সোমবার বেলা ১১ টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নাচোল উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল কাদের ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা সুলতানা। পরিদর্শন শেষে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও বলেন, যথাযথভাবে আইন না মেনে যে কাজটি হয়েছে তা একটি দুঃখ জনক ঘটনা। সেই সাথে তালা কেটে বাইরে ফেলে রাখা সমস্ত মালামাল তাৎক্ষনিকভাবে পুনরায় ওই কক্ষেই রাখার জন্য ইউএইচএফপিও সুলতানা পাপিয়াকে নির্দেশনা প্রদান করেন।