সেচ প্রকল্প নিয়ে পূর্ব শত্রুতা ও বিরোধের জের নিয়ে কৃষকের আলুক্ষেতে পানি দিয়ে ডুবে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। এতে ওই কৃষকদের প্রায় ১০/১২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার মুরাদপুর তেঁতলেগাড়ি গ্রামে।
ওই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মোজাম্মেল হক, বেলাল হোসেন, আলীম, দুলাল, জিন্নাত, হেলাল, বুলবুল সহ ভুক্তভোগী অনেকে জানান, পানি সেচের দাম বৃদ্ধি নিয়ে একই গ্রামের আবদুর রহমানের সাথে তাদের দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। বর্তমানে তারা রহমানের সেচ প্রকল্প থেকে পানি না নিয়ে নিজেদের সেচ মেশিন দিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড পাইপ লাইনের মাধ্যমে ধান ও আলু চাষ করেন।
তারই জের ধরে বিক্ষুব্ধ প্রতিপক্ষ তাদের লোকজনদের নিয়ে শুক্রবার গভীর রাতে তাদের ভারী সেচ মেশিন দিয়ে ওই কৃষকদের আলুক্ষেত পানি দিয়ে ডুবিয়ে দেয় ও তাদের সেচের পাইপ লাইগুলো নষ্ট করে দেয়। ক্ষতিগ্রস্ত বেলাল জানান এক সপ্তাহ পরেই জমি থেকে আলু উঠিয়ে বীজ হিসেবে হিমাগারে রাখতেন তারা। এতে তাদের প্রায় ১০/১২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে বুড়-ইল ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ জানান, আলুক্ষেতে পানি দিয়ে ডুবে দেয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে সেচ প্রকল্প নিয়ে তাদের দীর্ঘদিন যাবৎ দ্বন্দ্ব চলে আসছে এবং স্থানীয়ভাবে মিশাংসার জন্য শালিস করা হয়েছে। কিন্তু তারা একে অপরের প্রতি আন্তরিক না হওয়ার কারণে মিমাংসা করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য আবদুর রহামানের পুত্র আবদুল মোত্তালেব রাগের বশে নিজের মায়ের মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজনের নামে মামলা দায়ের করে। বর্তমানে তার মা বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ধরণের মিথ্যা মামলায় তারা পুলিশি হয়রানী সহ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি সার্বিক ) এর সাথে এ বিষয়ে কথা বলা হলে তিনি জানান, উল্লিখিত এলাকায় বিবাদমান দু’পক্ষের মধ্য মামলা পাল্টা মামলা বিবাদ দীর্ঘ দিনের। তবে পানি দিয়ে আলুক্ষেত ডুবে দেয়ার বিষয়টি তিনি শুনেছেন বলে জানান। এ বিষয়ে কোন অভিযোগ তিনি এখনো পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এই পুলিশের অধিকর্তা।