কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের ভেটেনারী সার্জন, ফিল্ড অ্যাসিন্টেন্ট ও ড্রেসার পদটি শূন্য থাকার কারণে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন বিভাগ থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে পল্লী চিকিৎসক সেজে ভূল চিকিৎসার কারণে কৃষকদের গরু মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। জানাযায়, উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের সাতুটা গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে পল্লী চিকিৎসক মোঃ শরিফ মিয়া একই ইউনিয়নের নোয়াকান্দি গ্রামের মোঃ মুসলিম উদ্দিনের একটি বিদেশী ষাড় ভূল চিকিৎসার কারণে গত ১৭ই ফেব্রুয়ারী মৃত্যু হয়েছে বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। এই পল্লী চিকিৎসক সিলেট সহ বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া করে এসেছে বলে এলাকাবাসীর কাছে প্রচার করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তার অপচিকিৎসায় এলাকার কয়েকটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন গেলে কৃষক মুসলিম উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, ১ মাস পূর্বে ক্রয় করা ষাড়টি ওজন ২৫০ কেজি। সেই ষাড়টি পল্লী চিকিৎসক শরীফ মিয়ার অপচিকিৎসার কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। অভিযোক্ত পল্লী চিকিৎসক মোঃ শরীফ মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার চিকিৎসায় ষাড় গরুটি মৃত্যু হয়নি। আগে থেকেই ষাড় গরুটি রোগাক্রান্ত ছিল বলে জানান। বাজিতপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ হায়দার আলী জানান, তার যতটুকু ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তিনি নিবেন বলে উল্লেখ করেন।