বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে তিনজন রোগী আক্রান্ত হওয়ার পর সারাদেশের মতো বগুড়ার নন্দীগ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দোকানে দোকানে ৫ টাকার মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।
জানা গেছে, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইডিসিআর) বাংলাদেশের তিনজন করোনা রোগী সনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে। আর এরপর থেকেই নন্দীগ্রাম উপজেলায় আলোচনার বিষয়বস্তু ‘করোনা ভাইরাস’। এই করোনা আতঙ্কে বিভিন্ন ফার্মেসি ও কাপড়ের দোকানগুলোতে ৫ টাকার মাস্ক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার টাকা দিয়েও মিলছে না মাস্ক। দোকানে নিতে গেলে বলছে মাস্ক আর নেই।
ব্যবসায়ীরা জানান, এখন বেশিরভাগ দোকানেও মাস্ক নেই। মাস্ক সংকট আগে থেকেই। তার ওপর বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তের খবর প্রকাশের সাথে সাথেই মাস্কের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। আর পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কেমিস্ট এ- ড্রাগিষ্ট সমিতির সাধারন সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, পাইকারি বাজারে মাস্কের দাম বেড়ে গেছে। এ কারণে ব্যবসায়ীরা কিছু বেশি দাবে বিক্রি করতে পারে। তারপরেও কোন ব্যবসায়ী মাত্রাতিরিক্ত দাম না নেয় এজন্য সকলকে বলে দেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: তোফাজ্জল হোসেন মন্ডল বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক নয়। কারো মধ্যে উপসর্গ দেখাদিলে হট লাইনে যোগাযোগ করবেন। করোনা ভাইরাসেরর বিষয়ে কেউ যাতে গুজব ছড়াতে না পারে এজন্য সকলকে সর্তক থাকতে হবে। বেশি দামে কেউ মাস্ক বিক্রি করলে তাদেও বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।