বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার পল্লীতে এক গাভী দুই মাথা ও তিন কান বিশিষ্ট একটি বাছুর প্রসাব করেছে।
বুধবার সকালে উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের কাথম গ্রামের কৃষক নিজাম উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, কৃষক নিজাম উদ্দিনের নিজবাড়িতে সকালে তার গাভীটি দুই মাথা ও তিন কান বিশিষ্ট বাছুরটি প্রসাব করে। কিন্তু প্রসাবের কয়েক ঘন্টা পর বাছুরটি মারা যায়। সেই বাছুরটি দেখার জন্য এলাকার শত শত উৎসুক মানুষ তার বাড়িতে ভিড় করেন। কৃষক নিজাম উদ্দিন বলেন, বাছুরটির সবকিছুই ঠিক ছিল, শুধু এশটির স্থলে দুইটি মাথা, দুইটির স্থলে তিনটি কান ছিল। ভাটগ্রাম ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলহাজ¦ বুলু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. অরুনাংশু মন্ডল বলেন, বিষয়টি শুনেছি। গাভীর ডিম্বানুর মধ্যে দুটি শুক্রাণু প্রবেশ করলে এমনটি হতে পারে।
নন্দীগ্রামে করোনা মোকাবেলায় কমিটি গঠন
এফএনএস (মোঃ ফিরোজ কামাল ফারুক; নন্দীগ্রাম,বগুড়া) :
বগুড়ার নন্দীগ্রামে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নানা ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। গঠন করা হয়েছে ৬ সদস্যের মেডিকেল টিম ও জরুরি সেবা দেয়ার জন্য খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে করোনা প্রতিরোধে পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. শারমিন আখতারের সভাপতিত্বে এক জরুরি সভা করা হয়েছে। সভায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষে উপজেলা পর্যায়ে কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি আরেকটি ৬ সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া জরুরি সভায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কন্ট্রোল রুম খোলা, আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা, করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে আগত ব্যক্তিদের জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলাসহ নানা সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এখনো আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত করা হয়নি।
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় আগাম সতর্কতা হিসেবে যে কোনো তথ্য দিতে নন্দীগ্রাম বিজরুল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। করোনা সম্পর্কিত কোনো তথ্য জানতে চাইলে বা কোনো সহযোগীতা চাইলে ০১৭৩০-৩২৪৬২৫ নম্বরে যোগাযোগ অনুরোধ করা যাচ্ছে। বিজরুল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত গাউন ও মাস্কের সরবরাহ নেই। তবে এখন পর্যন্ত এই উপজেলায় কোনো করোনা রোগী এবং সন্দেহজনক কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: তোফাজ্জল হোসেন মন্ডল বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নানা ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের হলরুমে আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত গাউন ও মাস্কের জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই।