রাজশাহীর মোহনপুরে শিক্ষার্থীকে মারপিটের ঘটনায় হাটরা দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্টের বিরুদ্ধে নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করায় তিন ধরে মাদ্রাসায় যেতে পারচ্ছেন না শিক্ষার্থী জহুরুল ইসলাম। অভিযোগ করে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীসহ তার পরিবারের লোকজন। ঘটনার তিনদিন অতিবাহিত হলেও মাদ্রাসার পক্ষ থেকে ওই শিক্ষার্থীর কোন খোঁজখবর নেয়া হয়নি। গত সোমবার (৯ মাচ) ওই শিক্ষার্থীর মা বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলার চকআলম গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে জহুরুল ইসলাম হাটরা দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্র। গত শনিবার (৭মার্চ) দুপুর পৌনে ১ টার সময় মাদ্রাসার মাঠে প্রকাশ্য সুপারিনটেনডেন্ট নাসির উদ্দিন নিজেই শিক্ষার্থী জহুরুল ইসলামের জামার কলার ধরে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করতে থাকেন। ওই সময় অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ছুটে এসে সুপারিনটেনডেন্টের হাত থেকে শিক্ষার্থী জহুরুল ইসলামকে রক্ষা করে। অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে শিক্ষার্থী জহুরুল ইসলামকে কেন মারপিট করা হয়েছে বিষয়টি সুপারিনটেনডেন্ট নাসির উদ্দিনের কাছে জানতে গেলে তিনি মারপিটের কথা অস্বীকার করে উল্টো বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করেন। শিক্ষার্থীর মা জহুরা বিবি জানান, ঘটনার পর থেকে তিন ধরে আমার ছেলে জহুরুল ইসলাম সুপারিনটেনডেন্ট নাসির উদ্দিনের হুমকির ভয়ে মাদ্রাসায় যেতে পারছেন না। মাদ্রাসার পক্ষ থেকে কোন খোঁজখবর নিয়ে কিনা জানতে চাইলে শিক্ষার্থী জহুরুল ইসলামসহ তার মা জানান, কেউ আসেনি বরং অভিযোগটি তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানওয়ার হোসেন লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সুপারিনটেনডেন্টের হুমকিতে ওই শিক্ষার্থীর মাদ্রাসায় যেতে পারচ্ছেনা এবিষয়ে জানাতে চাই ইউএনও বলেন, যদি এধরনের কোন ঘটনা ঘটে থাকে সেবিষয়েও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হাটরা দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট নাসির উদ্দিনের সাথে যোগযোগ করলে তিনি বলেন, জহুরুল ইসলাম ও খায়রুল ইসলাম নামের দুই শিক্ষার্থী মারামারি করছিল। ওই সময় আমি দেখতে পেয়ে তাদেরকে শাসন করে শ্রেণী কক্ষে পাঠিয়েছি।
মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রমজান আলী বলেন, এবিষয় নিয়ে ইউএন’র কাছে অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে।