ময়মনসিংহে ফুলবাড়ীয়ায় সামাজিক বিচার না পেয়ে হেপী আক্তার ( সুখি )(১৬) নামে এক ছাত্রী বিষ পান করে থানায় গিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। গুরুতর অবস্থায় থানা পুলিশ দ্রুত হেপীকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
মঙ্গলবার রাতে আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনায় কথিত প্রেমিক ধর্ষক মিনহাজকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় বড় বোন লিপি আক্তার বাদী হয়ে ফুলবাড়ীয়া থানায় ৩ জনকে আসামি করে মামলা কেেছন।
২নং পুঠিজানা ইউনিয়নের সরাতিয়া গ্রামের তারা মিয়ার কন্যা ছাত্রী হেপী আক্তার ও ৭নং বাকতা ইউনিয়নের বাকতা গ্রামের আঃ রাজ্জাকের পুত্র মিনহাজ গত ১৫ আগে বিয়ের কথা বলে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। নিজ বাড়িতে হেপী আক্তারকে রেখে মিনহাজ পালিয়ে যায়।
হেপি আক্তার জানান, মিনহাজ পালিয়ে যাওয়ার পরে স্থানীয় মাতাব্বরগণ মিনহাজের বিচার করে দিবেন বলে আমাকে ঢাকায় মা সালেহা বেগমের (গার্মেন্টস কমী ) কাছে পাঠিয়ে দেয়। ৯মার্চ ঢাকা থেকে এসে হেপী স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজান ও মাতাব্বদের কাছে যায়। তাদের কাছে সামাজিক বিচার না পেয়ে ৭নং বাকতা ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক (মাখন) কাছে যায়।
ফজলুল হক (মাখন) চেয়ারম্যান জানান, হেপীকে রাতে থাকার ব্যবস্থা করে দেই। ১০ মার্চ সকালে তাকে বুঝিয়ে গাড়ি ভাড়া দিয়ে মায়ের কাছে ঢাকায় চলে যেতে বলি।
হেপী আক্তার পথিমধ্যে দোকান থেকে বিষ ক্রয় করে তা পান করে। একটি চিরকুটে মিনহাজসহ ৫জনের নামে লেখে থানায় টিউটি অফিসারের রুমে দিতে গেলে হেপী আক্তার ঢলে পড়ে থানায়। থানা পুলিশ তাকে দ্রুত উদ্দার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই নবী হোসেন জানান, ধর্ষক ও কথিত প্রেমিক মিনহাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ফুলবাড়ীয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ হারুন আল মাকসুদ জানান, হেপি আক্তার সুস্থতার পথে তবে ৭২ ঘন্টার আগে কিছু বলা যাবে না।
ওসি (তদন্ত) জহির ইসলাম মুন্না জানান, সামাজিক বিচার না পেয়ে আত্মহত্যার চেষ্ঠা করেছিল। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করায় প্রাণে বেঁচে গেল হেপি আক্তার। মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার চেষ্টা ও তদন্ত চলছে।