আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাক্ষী ও রাজাকার মামলার উদোক্তা রেজাউল হাবীব রেজাকে কিশোরগঞ্জের ডিসি দিলেন ৫০ হাজার টাকা। বুধবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে হার্ট এটাকের রোগী তিন মেয়ে সন্তানের জনক রেজাউল হাবীব রেজাকে জেলা প্রশাসক, পাগলা মসজিদের ও ইসলামিক কমপ্লেক্স,কিশোরগঞ্জ-এর সভাপতি মোঃ সারওয়ার মূর্শেদ চৌধুরী ৫০ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শওকত উদ্দিন ভূইয়া, জেলা প্রশাসকের গোপনীয় সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আশিকুর রহমান খান ও ৭১'র মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম মোঃ শাহীন মিয়া।
জানা গেছে, নানা প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে রাজাকার স্বজনদের মামলা খেয়ে ঘুরে ঘুরে সাক্ষী সংগ্রহ করে রেজাউল হাবীব রেজা নিঃস্ব হয়েছেন। কিশোরগঞ্জের ৫ (পাঁচ) রাজাকার দন্ডিত হয়েছে রেজাউল হাবীব রেজার প্রচেষ্টায়। কিন্তু এ রেজা অদ্যাবধি কোনো সরকারী অনুদান বা সহায়তা পাননি। সম্প্রতি কলম যোদ্ধা রেজাউল হাবীব রেজা দুদুবার হার্ট এ্যাটাক করে জেলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে রেফার্ড করেন। কিন্তু ব্যায় বহুল চিকিৎসার খরচ তার পক্ষে মেটানো কষ্টদায়ক হয়ে যায়। এ মুহুর্তে জেলা প্রশাসক মোঃ সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী এগিয়ে এলেন। তাঁর চিকিৎসা বাবদ পাগলা মসজিদের ফান্ড হতে ৫০ হাজার টাকার সহায়তা চেক প্রদান করেন। তবে কিশোরগঞ্জের পৌর মেয়র পারভেজ মাহমুদ ও ডিসি মহোদয়ের যৌথ স্বাক্ষরে অনুমোদিত পাগলা মসজিদের সাহায্য খাত থেকে কেন তাকে আর্থিক সাহায্য পেতে হবে এ প্রশ্ন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের? একজন সফল উদ্যেক্তা কী কোনো সরকারী অনুদান পেতে পারতো না? বিশেষ দিবসে তাকে কোনো সম্মাননা না দিলেও বলতে হবে রাজাকার নির্মূলে রেজাউল হাবীব রেজার কোনো বিকল্প নেই কিশোরগঞ্জে।