দেশের সর্বপ্রথম এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন

এফএনএস : | প্রকাশ: ১২ মার্চ, ২০২০, ১২:৪৮ এএম : | আপডেট: ১২ মার্চ, ২০২০, ০৫:৪৭ এএম

দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে যাত্রাবাড়ী-মাওয়া-ভাঙ্গা রুটে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন।

ভ্রমণের সময় কমানোর পাশাপাশি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর লোকদের জন্য আরামদায়ক ও নিরবচ্ছিন্ন যাতায়াত নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ৫৫ কিলোমটিার র্দীঘ এই এক্সপ্রেসওয়ে র্নিমাণ করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই সড়কগুলো উদ্বোধনের ফলে মানুষ অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হবে। দেশের অর্থনীতি উন্নয়ন হবে।

এদিকে একই সঙ্গে তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু নির্মাণ (সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় ছয় লেনের তৃতীয় কর্ণফুলী (শাহ আমানত সেতু) সেতু অ্যাপ্রোচ সড়ক এবং ওয়ের্স্টান বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় খুলনা, বরিশাল ও গোপালগঞ্জ সড়ক জোনে নির্মিত ২৫টি সতেুর উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

এটি উন্মুক্তর ফলে বাংলাদশে যোগাযোগ ক্ষেত্র নতুন এক যুগে প্রবেশ করল এমন মন্তব্য করে প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক মানের এই এক্সপ্রেসওয়ে দুইটি সার্ভিস লেনের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীকে যুক্ত করবে।

প্রকল্পের বিবরণ অনুসারে এক্সপ্রেসওয়েতে পাঁচটি ফ্লাইওভার, ১৯টি আন্ডারপাস এবং প্রায় ১০০টি সেতু এবং কালর্ভাট রয়েছে। যা দেশের ব্যবসা- বাণিজ্য বাড়িয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে সহায়তা করবে।

আধুনিক এই এক্সপ্রেসওয়ের দুটি অংশ ৬.১৫ কিলোমিটার র্দীঘ পদ্মা সেতুর মধ্য দিয়ে সংযুক্ত করা হবে। এবং তা বর্তমানে নির্মাণাধীন রয়েছে।

দেশের ইতিহাসে প্রথম ৬ লেনের সড়কের ৪ লেনের মূল এক্সপ্রেসওয়ে এবং ধীরগতির যানবাহনের জন্য উভয়মুখী দুই লেনের সার্ভিস রোড থাকবে। এর ফলে ঢাকা মাওয়া যেতে সময় লাগবে মাত্র ২৭ মিনিট।

২০১৬ সালের মে মাসে ৬ হাজার ৮৫২ কোটি ৯২ লাখ টাকার এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। কাজ শেষের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২০২০ সালরে জুন মাস। তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হলো কাজ।

বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত এই সড়কের সার্বিক কাজ করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনির্য়াস কন্সট্রাকশন ব্রিগেড।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW