নীলফামারীর সৈয়দপুর, কিশোরগঞ্জ, ডোমার,ডিমলা, জলঢাকা,চিলাহাটি এবং নীলফামারী সদরের মাংসের বাজারে ভেড়া যেভাবে খাসি হয়ে যায় নিমিষেই। ভেড়া জবাইয়ের পর মাংসের দোকানে তা খাসি হয়ে যাচ্ছে। ফলে মাংস কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। ভেড়ার মাংস খাসি হিসেবে বিক্রির প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলছে। নিরাপদ মাংস নিশ্চিত আইনের প্রয়োগ,ভ্রাম্যমান আদালত এবং বাজার কমিটির মনিটরিং ব্যবস্থা জরুরী বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। বাজার করতে আসা ক্রেতা মইনুল ইসলাম জানান,দোকানে সারি সারি মাংস সাজানো রয়েছে। কিন্তু কোনটি খাসির আর কোনটি ভেড়ার তা দেখে বোঝার কোন উপায় নেই। অধিকাংশ দোকানদার ভেড়ার মাংসকে খাসির মাংস হিসাবে বিক্রি করছেন। আবার খাসির সাথে ভেড়া মিশিয়ে বিক্রি করে থাকেন। তারা ভেড়া জবাইয়ের পর প্রথমেই গোপন জায়গায় নিয়ে গিয়ে শরীর থেকে চামড়া খুলে নেন। পরে তা বিভিন্ন দোকানে খাসির মাংস হিসাবে বিক্রি করে অপরদিকে খাসির মাংস বলে প্রমান করার জন্য দোকানের সামনে খাসির মাথা, চামড়াসহ বিভিন্ন আলামত রাখা হয়। তারা আরো জানান,ডিমলার ডাংগার হাট,সৈয়দপুরে রেল বাজার, গেট বাজার, চৌমহনী বাজার, ঢেলাপীর বাজার, জলঢাকা বাজার,কিশোরগঞ্জ বাজার,ডোমার বাজারে গরু, খাসি, মহিষ ও ভেড়ার মাংস বিক্রি করে মাংস ব্যবসায়িরা। তবে তারা কাকে যে কোন মাংস দেয় তা বলা মুশকিল। এ ধরনের কারসাজির কারণে বাজার থেকে মাংস কিনে বাসায় গিয়ে রান্না করে খাওয়ার সময় স্বাদ কেন যেন উল্টো পাল্টা লাগে। বাসার গিন্নিরা এমন প্রশ্ন তুললে আমরা কথার কথায় বলে থাকি এখন কোন জিনিসের স্বাদ নেই। আসলে সকল পণ্যে দেয়া হচ্ছে ভেজাল ফলে যতই মসল্যা দেন মজা লাগে না তরকারি। পশু জবাইয়ের নির্দিষ্ঠ স্থান থাকলেও ব্যবসায়িরা তা মানছেন না। তারা অনেকটা নিজের খুশি মতো স্থানে পশু জবাই করে থাকে। তাছাড়া একজন চিকিৎসক কর্তৃক পশু পরীক্ষার পর যদি ওই পশু সবল হয়ে থাকে, তখন তার গায়ে সিল মারা হয়। পরে ওই পশু একজন মৌলভী দ্বারা জবাই করার কথা কিন্তু বর্তমানে ওই নিয়ম মনে হয় কেউ মানছে না। ভোক্তা অধিকার আন্দোলনের নেতা মাহফুজার রহমান দুলাল জানান, ক্রেতা ঠকানোর এ অপকৌশল দীর্ঘদিন ধরে চলছে বিভিন্ন এলাকায়। এটি দমনে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানোর উদ্যোগ নিতে হবে। এদিকে সৈয়দপুর বনিক সমিতি সভাপতি ইদ্রিস আলি বলেন এ অবস্থা সৈয়দপুরে চলছে অনেক দিন থেকে কিন্তু অভিযান না থাকায় তারা আইনগত দিক থেকে পার পেয়ে যাচ্ছে।