সারাদেশে স্বাধীনতা-স্বাধীকার আর ভালোবাসার গণকবর রচনার প্রতিযোগিতা চলছে। ছাত্র-যুব-জনতার মাঝে নেমে এসেছে চরম অস্থিরতা। একদিকে কালো মানুষদের রাজনৈতিক অস্থিরতা; অন্যদিকে অর্থনীতির মুখ থুবরে পড়ে যাওয়া; তার উপর আছে অপসংস্কৃতি-ধর্মব্যবসা-অপশিক্ষার প্রভাব। যে রাস্তায় আজ জাতি চলতে শুরু করেছে, সে রাস্তাটি শেষ হয়েছে ধ্বংসের দেয়ালে গিয়ে। হয়তো একারণেই প্রতি ঘন্টায় ৮ টি তালাক-এর ঘটনা ঘটছে। প্রতিদিন গড়ে তালাকপ্রাপ্ত হচ্ছে ১৯২ জন নারী-পুরুষ। সংসার ভাঙছে-সন্তান পিতা-মাতার ভালোবাসা- ¯েœহ বঞ্চিত হচ্ছে। এভাবেই বাংলাদেশ ক্রমশ অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই তো কয়দিন আগে বাংলাদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর অস্ট্রেলীয় প্রবাসী অনিক মাহমুদ হৃদয়কে তালাক দিয়েছেন। শাবনূরের সই করা নোটিশটি অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদের মাধ্যমে অনিককে পাঠিয়েছেন তিনি। সিনেমা জগতের বাইরের একজনকে বিয়ে করে সুদূর অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন এক সময়ের রূপালি পর্দা কাঁপানো লাস্যময়ী এই অভিনেত্রী। তাদের ঘর আলো করে এক ছেলেও আসে। তবে কেন বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলেন শাবনূর? ভক্তদের মধ্যে এ নিয়ে কৌতূহল জন্মেছে। স্বামী অনিককে তালাক দেয়ার কারণ ডিভোর্স নোটিশে শাবনূর নিজেই জানিয়েছেন। সেখানে অনিক মাহমুদ হৃদয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অনেক অভিযোগ এনেছেন তিনি। গণমাধ্যম বলছে- নোটিশের অনুলিপি অনিকের এলাকার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এবং কাজী অফিস বরাবরও পাঠানো হয়েছে। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তালাকের নোটিশ এবং হলফনামা প্রস্তুতকারী অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদ। অনিকের বিরুদ্ধে আনা শাবনূরের অভিযোগগুলো বিষয়ে অ্যাড. কাওসার আহমেদ বলেন,শাবনূরের স্বামী অনিক মাদকাসক্ত। রাত বিরাতে মাতাল হয়ে বাসায় ফেরেন। প্রতিবাদ করলে শাবনূরকে নানারকম মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেন। নোটিশে শাবনূর আরো জানিয়েছেন, সব সময় মদ্যপ থাকার কারণে স্ত্রী-সন্তানের প্রতি দায়িত্ব পালন করেন না অনিক। অস্ট্রেলিয়ায় এমন একাকি জীবনে ঠিকমতো শাবনূরের যথাযথ যতœ ও রক্ষণাবেক্ষণ করে না। একজন মুসলিম স্ত্রীর সঙ্গে স্বামী যে ব্যবহার করেন অনিক সেটা করছেন না বলে অভিযোগ শাবনূরের। অনিকের বিরুদ্ধে শাবনূর আরো অভিযোগ এনেছেন, ছেলের জন্মের পর থেকে অনিক দিন দিন আরো দূরে সরে থাকা শূরু করে। পরে তিনি জানতে পারেন অস্ট্রেলিয়ায় অন্য এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আলাদা বসবাস করছেন অনিক। এরপরও সব মেনে নিয়ে স্বামীকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলে উল্টো অমানসিক নির্যাতন সইতে হয়েছে শাবনূরকে। তিনি বলেছেন, এসব কারণে তারা জীবনে অশান্তি নেমে এসেছে। এক সময় বিরক্ত হয়েই তার কাছ থেকে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। সবশেষে তালাকনামায় শাবনূর লিখেছেন, ‘এসব কারণগুলোর জন্য মনে হয়ে তার সঙ্গে আমার আর বসবাস করা সম্ভব নয় এবং আমি কখনো সুখী হতে পারব না। তাই নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং সুন্দর জীবনের জন্য তার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছেদ করতে চাই। মুসলিম আইন এবং শরিয়ত মোতাবেক আমি তাকে তালাক দিতে চাই। আজ থেকে সে আমার বৈধ স্বামী নয়, আমিও তার বৈধ স্ত্রী নই।’ ডিভোর্স নোটিশ বিষয়ে শাবনূরের এসব অভিযোগ বিষয়ে অনিক কিংবা দুজনের পরিবারের কোনো সদস্য থেকে বক্তব্য পাওয়া যায়নি। যতদূর মনে পড়ে- ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর অস্ট্রেলীয় প্রবাসী অনিক মাহমুদ হৃদয়কে বিয়ে করেন শাবনূর। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর এ দম্পতির আইজান নিহান নামে এক ছেলে হয়। ছেলেকে নিয়ে এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন শাবনূর। এখন কথা হলো- শাবনূর কেন ডিভোর্স দিলেন? কারণ কিন্তু একটি নয়; কয়েকটি। কি কি চলুন জেনে নেই- প্রথমত- তাঁর স্বামীর সন্দেহ প্রবণতা, দ্বিতীয়ত-ধর্মীয় অনুশাসন না মেনে জীবন পরিচালনা এবং তৃতীয়ত- পরকীয়ায় আসক্তি। এমন একটা পরিস্থিতিতে যে কোন নারী তাঁর স্বামীকে ডিভোর্স দিবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কি কারণে অনিক এসব করছে? প্রশ্নটি কিন্তু থেকেই যায় অন্তরালে। আমি কারণ হিসেবে বহুদিন গবেষণা করে যা পেয়েছি, তা হলো- সুশিক্ষার অভাব, ধর্ম সম্পর্কে না জানা, সমাজ-সভ্যতায় আগ্রহী না হওয়া এবং অপসংস্কৃতিতে ডুবে যাওয়া।
আমাদের দেশে চলতি পথে দেখবেন, অনেকে মহিলা বা মেয়ে দেখলেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে লুঙ্গি ঠিক করে; কাশি দেয় অথবা দুই পায়ের মাঝখানে থাকা বিশেষ অঙ্গটিকে নাড়াচাড়া দেয়; নতুবা চুলকানো শুরু করে। এরা যা করছে, তা কুশিক্ষার প্রভাব-কুসংস্কৃতির প্রভাব। এই কাজগুলো যে অন্যায় তা শেখানোর অন্যতম স্থান হলো- মসজিদ-মন্দির-গীর্জা-প্যাগোডা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে করা হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রার্থনা করতে অথবা জ্ঞান অর্জন করতে গেলে চলে আসে দান বা বিনিয়োগের অপসন। আর এরই মধ্য দিয়ে আমাদের সমাজে জন্ম নেয় অপরাধের পর অপরাধ। যে অপরাধের রাস্তা ধরে এগিয়ে আসে ধর্ষণ-খুন-নির্যাতন। কিন্তু আমার মত অবিরত প্রায় সবারই কাম্য- সুন্দর ও সুখী দাম্পত্য জীবন। দাম্পত্য জীবন সুখের না হলে পুরো জীবনটাই অসহনীয় হয়ে ওঠে। এত অশান্তি আর কোথাও নেই, যদি কাছের মানুষটির সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না থাকে, তবে সবচে বড় বিষয় হচ্ছে দুজনের বোঝাপড়া। এ জায়গাতে মিল না হলে জীবন বিষাদময় হয়ে উঠতে বাধ্য । দাম্পত্য জীবনে ছোট ছোট কিছু ভুল ধীরে ধীরে বড় হয় ,এবং এক সময় যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন সম্পর্কের সঠিক রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ার মধ্য দিয়ে মানুষ মুক্তি খোঁজে। এসময় বাড়তে থাকে বিবাহ বিচ্ছেদ বা ডিভোর্স। তথ্য ভিত্তিক গবেষণায় আমি দেখেছি- “ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের দু’টি এলাকায় ২০০৬ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তালাক কার্যকর হয় ২৩০৯টি, যার মধ্যে ১৬৯২টি স্ত্রী কর্তৃক আর স্বামী কর্তৃক ৯২৫টি৷ ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের জুলাই পর্যন্ত তালাকের সংখ্যা ৩৫৮৯টি৷ এর মধ্যে ২৩৮১টি স্ত্রী কর্তৃক আর স্বামী কর্তৃক হয়েছে ১২০৮টি৷ এই পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, তালাক দেয় পুরুষ ৩০ শতাংশ, আর নারী ৭০ শতাংশ। ঢাকায় প্রতি ঘন্টায় গড়ে একটি তালাকের ঘটনা ঘটছে”।
তবে একথাগুলো সত্য- দাম্পত্য কলহের পরিণামে তালাক কিংবা বিচ্ছেদের ঘটেই চলছে। এর নেপথ্যে ব্যক্তি ও সম্পর্ক ভেদে ভিন্নতা থাকলেও কিছু সাধারণ কারণ লক্ষ্য করা যায়। যে সব কারণে মেয়েরা সাধারণত ডিভোর্স দিয়ে থাকে-
১. স্বামী-স্ত্রীর যে কোনো একজনের পরকীয়া আসক্ততা
২. স্বামী কর্তৃক স্ত্রী শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হওয়া কিংবা স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত করা।
৩. স্ত্রীদের স্বাভাবিক চলাফেরা ও স্বাধীন জীবন যাপন করা এবং ধর্মীয় অনুশাসনের তোয়াক্কা না করায় অনেক ধর্মান্ধ স্বামীদের পক্ষ থেকে অবহেলার শিকার হওয়া।
৪. প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে না দিয়ে পারিবারিক সিদ্ধান্তে অন্যত্র বিয়ে দেয়া।
৫. পেশাগত ব্যস্ততা ও সাংসারিক কাজ একসঙ্গে সামাল দিতে গিয়ে অত্যধিক চাপে পড়া
৬. স্বামী দীর্ঘদিন দেশের বাইরে অবস্থান করা।
৭. স্বামীর পক্ষ থেকে মোটা অঙ্কের যৌতুক দাবি করা বা যৌতুক দিতে অসম্মতি জানালে শরীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হওয়া।
৮. স্বামীর পক্ষ থেকে দুর্ব্যবহার বা একাধিক স্ত্রী থাকলে বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হওয়া।
৯. প্রেমে ব্যর্থ হয়ে অন্য স্বামী গ্রহণ করলেও প্রেমিকের প্রতি আকর্ষণ থাকার কারণে স্বামীর সঙ্গে মানসিক দূরত্ব সৃষ্টি হওয়া।
১০. স্বামীর পরিবারে ভালোবাসাপূর্ণ পরিবেশ না থাকা বা স্বামীর আত্মীয়-স্বজনদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম চাপ আসা।
১১. দাম্পত্য কলহ অব্যাহত থাকা।
১২. একে অপরের প্রতি সন্দেহপ্রবণ হয়ে ওঠা।
যদিও ভালবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ কথাটি এখন অনেকাংশেই সত্য হয়ে ওঠে। তখন মনে হয়- সবার জীবনে হয়তো বিয়ে সুখের হয় না, কারো কারো জীবনে নেমে আসে একটু আলাদা নিয়ম আর অন্য কোন পথের ঠিকানা এটার কারন হলো ডিভোর্স বা বিবাহবিচ্ছেদ। বিবাহ বিচ্ছেদের কারণে আমাদের সুখের সংসার ভেঙ্গে যায়। ডিভোর্স বা বিবাহবিচ্ছেদ এর শিকার হতে হয় কখনো কখনো একটি অবুঝ শিশুকে ৷
বাংলাদেশে বিবাহবিচ্ছেদ বাড়ার পিছনে মূল যে কারণ গুলো রয়েছে -
নিজেদেরকে সময় দিতে না পারা
ধর্ম অনুযায়ী চলাচল না করা
একে অপরের বন্ধু হতে না পারা
দু’জন এর মধ্যে মতামত এর মিল না থাকা
শিক্ষার অভাব থাকা অথবা বয়সে অনেক পার্থক্য
সামান্য কিছু নিয়ে কথা বলতে না পেরে ঝগড়া বিবাদ এ জড়িয়ে যাওয়া
শিক্ষার অভাবের ফলে স্ত্রীর গায়ে হাত উঠানো
যৌতুক নিয়ে অথবা দিয়ে বিবাহ দেয়া
ধর্মীয় অনুশাসন এ বিবাহ এবং বাংলাদেশে বিবাহবিচ্ছেদ?
মুসলমানদের মধ্যে ও বর্তমানে বিবাহ বিচ্ছেদ দেখা দিচ্ছে। যার পরিমাণদিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশে এমন অনেক ঘটনা রয়েছেযেগুলোতে স্বামী, স্ত্রী কে তালাক দিয়ে দিচ্ছে ৷ অথবা দেখা যাচ্ছে স্ত্রীতার স্বামী কে তালাক দিচ্ছে ৷ কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে স্বামী স্ত্রী এরমনের অমিল অথবা নিরক্ষরতা। কখনো কখনো দায়ী করা হচ্ছে ইচ্ছেরবাইরে বিয়ে দেয়া হয়েছে অথবা স্বামী স্ত্রী দুজন মিলে-ই এই সিদ্ধান্ত যেতারা আর সংসার করবেন না, শেষ হিসেবে তালাক এর সিদ্ধান্ত. আবারকখনো এর বিপরীত টাও জানা যায়৷
জানুন বিভিন্ন জরিপে উঠে আসা ডিভোর্সের মূল কারণগুলো?ডিভোর্স এর যে অন্যতম কারণ গুলো রয়েছে তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে -
সামাজিক অস্থিরতা থেকে বিবাহ বিচ্ছদের মতো ঘটনা ঘটছে
অর্থনৈতিক পট পরিবর্তন থেকে বিবাহ বিচ্ছদের মতো ঘটনা ঘটছে
অন্যতম একটি কারো হচ্ছে ধর্মীয় অনুশাসন থেকে সরে যাওয়া যাবিবাহ বিচ্ছেদের দিকে ঠেলে দেয়
আর এছাড়াও রয়েছে পারিবারিক বন্ধন দুর্বল হয়ে যাওয়া
স্বামী তার স্ত্রী কে সন্দেহের নজরে দেখা
মতামতের অমিল বা অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়া
একসঙ্গে থেকে সংসার করতে না পারা বা স্বামী স্ত্রী আলাদা বাসায়বা বিদেশে থাকা
স্বামীর ইচ্ছের প্রাধান্য না দেয়া
বদমেজাজ আর ঝগড়ায় জড়িয়ে যাওয়া
সংসারের প্রতি কম মনোযোগী হওয়া
নারীদের বন্ধাত্বটা সহ পরিবারে দায়িত্বশীল না হতে পারে
এছাড়াও যৌতুক, মাদকাসক্তি, সময় দিতে না পারা এসব কারণেওবিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে থকে
১০ টি মূল কারণ যার ফলে সবচেয়ে বেশি ডিভোর্স হয়ে থাকে?
ধর্মীয় অনুশাসন ও সুশিক্ষার অভাব
পাত্র-পাত্রী নির্বাচনে ভুল করা
তালাকের অপব্যবহার
তালাকের মত গুরু দায়িত্ব নারীদের হাতে প্রদান করা
অপরাধ ও গুণাহ করা, গুনাহে লিপ্ত থাকা, প্রযুক্তি
স্বামী অথবা স্বামীর পরিবারের পক্ষ থেকে কঠোরতা ও জুলুম করা
যৌতুক একটি সামাজি ব্যাধি
তথাকথিত নারীসংগঠন
উভয় দিকের চাহিদা ও আশা
সন্দেহ, দ্রুত বাচ্চা না নেয়া, ধৈর্য না থাকা
ডিভোর্সের নেপথ্য কিছু কারণ ও অগ্রসরতা ?
তালাক - বিকারগ্রস্থ মানুষ সব সময়ই ছিল, তাদের দিয়ে কখনো উন্নতিসম্ভব হয় নি৷ প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষ কে ভালোর দিকে ও নিয়ে যেতেপারতো কিন্তু বিকারগ্রস্থ মানুষ গুলো তা খারপ কাজেই ব্যবহার করেথাকে৷ ধর্ম পালন ও নৈতিকতার ওভাবেই হচ্ছে তালাক৷ প্রধানতনারীরাই তালাকের ক্ষেত্রে এগিয়ে।
বিবাহ পরবর্তী আরো ৫ টি অন্যতম কারণ যার ফলে বাড়ছে ডিভোর্স
শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়া
প্রত্যাশা পূরণের অভাব থেকে যাওয়া
ধর্যের অনেক অভাব থাকা
ভবিষৎ নিয়ে বা ক্যারিয়ার নিয়ে সমস্যা
পরিবারের সদস্যের প্রতি অনধিকার চর্চা করা। আর এভাবেই ডিভোর্স বা তালাক এখন দেশব্যাপী মহামারী আকার ধারণ করেছে। চুন থেকে পান খসতেই অনেকে দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে দ্বিধাবোধ করেন না। এরপর নতুন জীবনে পথ চলতে শুরু করলেও এর প্রভাব সারা জীবন ভোগ করতে হয় তাদের। একটা ডিভোর্সে দু’জন মানুষ আলাদা হলেও এর কঠিন প্রভাব পড়ে সন্তানদের ওপর। ডিভোর্সের সব কষ্ট তারা ভোগ করতে থাকে। আর দু’জনের পরিবার ও সমাজে এর প্রভাব তো আছেই। বাড়ছে ক্রমশ বিবাহ বিচ্ছেদ। এই বিবাহ বিচ্ছেদের মধ্যে ৭০.৮০ শতাংশ নারী তালাকের জন্য প্রথমে আবেদন করেছেন। অন্যদিকে মাত্র ২৯.১৫ শতাংশ পুরুষ প্রথমে আবেদন করেছেন তালাকের জন্য। এখনো ৪৯ হাজার তালাকের আবেদন বিচারাধীন রয়েছে। পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যায়, সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ডিভোর্সের সংখ্যা বেড়েই চলছে। আমি মনে করি- এসব সমস্যা দূর করতে যেমন সামাজিক মূল্যবোধ ও সচেতনতা বাড়ানো দরকার, তেমনি ব্যক্তিপর্যায়ে নৈতিক মূল্যবোধ বাড়ানো প্রয়োজন। দাম্পত্য জীবনে সমস্যা থাকা স্বাভাবিক। সেই সমস্যাগুলো স্বাভাবিক পন্থায় সমাধান করা উচিত। সুখী দাম্পত্য জীবনে যেমন দরকার পারস্পরিক বিশ্বাস, ভালোবাসা আর ত্যাগ; তেমনি দরকার বোঝাপড়া করে চলার মানসিকতা। যদি এভাবে সংসারে চলা যায় তাহলে সংসার যেমন ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে, তেমনি নিশ্চিত হবে অনাগত সন্তানের একটি আলোকিত ভবিষ্যৎ। ডিভোর্স কখনো সমস্যার সমাধান দিতে পারে না, বরং একটি ডিভোর্স হাজারটি সমস্যা তৈরি করতে পারে অবলীলায়। তাই ডিভোর্স নয়, সমঝোতা হোক দাম্পত্য জীবনের হাতিয়ার। কেননা, আমি চাই না আমার মত আর কোন সন্তান মায়ের আদর- ¯েœহ থেকে বঞ্চিত হোক, বঞ্চিত হোক বাবার ভালোবাসা- ¯েœহ থেকে। বঞ্চিত হোক দেশ-সমাজ-জীবনের আশার আলো থেকে...
মোমিন মেহেদী : চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি