কুমিল্লা-০২ আসনের (হোমনা-তিতাস) ব্যাপক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতেই সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদের নামে কুৎসা রটিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বুধবার যে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন তার প্রতিবাদ জানিয়েছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পাশাপাশি আ.লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান আবুলকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় উপজেলা সদরে স্থানীয় সংসদ সদস্যের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি ও পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট মো. নজরুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ ও সাধারণ সম্পাদক একেএম সিদ্দিকুর রহমান আবুল মুজিববর্ষের আলোচনা সভার কথা বলে ইউএনও’র নামে ব্যানার টানিয়ে যে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তা সম্পূর্ণরূপে আইনের পরিপন্থী ও অসাংগঠনিক। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরও জানান, আমাদের সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ ১৯৭৩ সালের পর এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে এ অঞ্চলকে কলঙ্কমুক্ত করেন। বর্তমান সংসদ সদস্যের উন্নয়নের কিছু তথ্য তুলে ধরে বলেন, সেলিমা আহমাদ মেরী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে হোমনা-তিতাসের স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা ও রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এ উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্যই এক শ্রেণির দুর্নীতিবাদ, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ভূমি দস্যুরা এমপির নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি দলীয় লোকজনের মান-মর্যাদা রক্ষায় সব সময় নিবেদিত আছেন। কখনো তিনিকোনো নেতা-কর্মীর ওপর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেননি। বরং হোমনা-তিতাস থেকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ভুমিদস্যু, মাদকব্যবসায়ীদের নির্মূল করা হয়েছে। নব্য ও হাইব্রিড আওয়ামী লীগ সম্পর্কে তিনি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দেওয়া তথ্যের প্রতিবাদ করে বলেন, ২০১৬-’১৭ সালে মোস্তফা এবং মেহেদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগদান করিয়েছিলেন তারাই। অথচ, তারাই এখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে এমপির নামে চরম মিথ্যাচার করছেন। তিনি আরও জানান, মজিদ সাহেব ও আবুল গত আওয়ামী লীগের কমিটিতে তিতাসের কৃষ্ণপুর গ্রামের আবুলের ভগ্নিপতি ফিরোজকে যুগ্ম সম্পাদক করেন এবং ছাত্রদলের বহিঃ ক্রীড়া সম্পাদক মো. সেলিমকে ক্রীড়া সম্পাদক করেন। সেলিমা আহমাদ মেরী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এই প্রথম হোমনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুই জন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করান। অতীতে তারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক থাকার পরও বিএনপি ও রাজাকাররা নির্বাচিত হয়। এমপি মহোদয়ের উন্নয়নের এ ধারাকে ব্যহত করার জন্য মজিদ সাহেব ও অবাঞ্চিত সাধারণ সম্পাদক আবুল মিথ্যা সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. মহসিন সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক মোল্লা, যুগ্ম সম্পাদক সাদেক সরকার ও গাজী ইলিয়াস, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মো. মহিউদ্দিন খন্দকার, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিনুজ্জামান খোকন, সদস্য মাহবুবুর রহমান খন্দকার, পৌর আ.লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন মোসলেম, যুব লীগ আহ্বায়ক খন্দকার মো. নজরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেব লীগ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ফারুক, কুমিল্লা উত্তর জেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন সরকার, ছাত্রলীগ সভাপতি মো. ফয়সাল সরকার, চান্দেরচর, ঘাগটিয়া, আসাদপুর, দুলালপুর, ভাষানিয়া, জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম সিদ্দিুকর রহমান আবুল তাদের করা সাংবাদিক সম্মেলনকে আইনের পরিপন্থী ও অসাগঠনিক মনে করেন না। তিনি বলেন, ইউএনওর সাথে যে অসদাচারণ করা হয়েছে, তার-ই বিবেকের তাড়নায় আমরা সাংবাদিক সম্মেলন করি।