বর্তমান বিশ্বের হোমিওপ্যাথিক বিশেষাজ্ঞদের মতে করোনা ভাইরাসের সক্রামন রোধে ২০০ শক্তির আর্সেনিকাম এ্যালবাম ঔষটিই সর্বউৎকৃষ্ট এবং কার্যকরি ওষুধ বলে জানালেন যশোর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ও পেশাজীবী সংগঠনের সভাপতি ডা.এস.এম.আব্দুল্লাহ। প্রতিদিন সকালে বাসি পেটে দিনে একবার ঔষধটি পর পর সাতদিন সেবনে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধক শক্তি তৈরি হতে পারে বলে তিনি বিশ্বের অন্যান্য হোমিওপ্যাথিক গবেষকদের সাথে একমত পোষণ করেন। তবে ডাঃ আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের দেশে এখনো পর্যস্ত করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। তবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহ হলে জাতীয় স্বার্থে ওই রোগীকে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদেরকে হ্যান্ডেল না করতে অনুরোধ জানিয়ে রোগীটিকে দ্রুত সরকারি ব্যবস্থাপনায় পাঠানোর পরার্শ দিয়েছেন তিনি।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তাগণ আর্সেনিকাম এ্যালবাম এর পাশা পাশি ক্রোনাইট, জেলস্, ল্যাকেসিস, ইউপোটরিয়াম পার্প ইত্যাদি হোমিও ঔষধের কথাও উল্লেখ করেন। সন্ধ্যায় হোচিপেসের উদ্যোগে করোনা ভাইরাস সক্রামণ রোধে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের করণীয় শীর্ষক এক জরুরী আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে করোনা ভাইরাস সক্রামণ রোধে প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা জোরদার করাটায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্র্ণ। এ ব্যাপারে ঘন ঘন ওযু করা, মাক্স ব্যবহার করা, করমর্দন না করা ইত্যাদি উল্লেখ করেন।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক, গবেষক এবং বিশিষ্টজনদের এই আলোচনায় শহরের বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ব্যবসায়ী, হোচিপেসের সন্মানিত উপদেষ্টা এবং যশোর যুবলীগ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ মুনির হোসেন টগর হোচিপেসের গবেষণা টিমকে হোমিওপ্যাথিক গবেষণালব্ধ জ্ঞানের আলোকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এগিয়ে আসবার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সমাজ সেবক ড.মুস্তাফিজুর রহমান, হোমিও গবেষক এবং বর্ষা হোমিও এর সত্বাধিকারি ডাঃ মোঃ সামছুল হক, হোমিও গবেষক ও লেখক অধ্যাপক ডাঃ আর.কে ঘোষ, ডা.আবিদ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।