বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরের ধুনটমোড় এলাকায় মাদক সেবনে নিষেধ করায় সালাউদ্দিন(৩৫ ) নামের এক আবাসিক হোটেলের ম্যানেজারকে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় মাদকসেবী জয়, নিরব, রিফাত ও শুকুর নামের মাদক সেবী ৪যুবকের বিরুদ্ধে সু’নিদিষ্ট অভিযোগে কারণে আটক করা হলেও রহস্যজনক কারণে তাদের থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী আবাসিক হোটেল ম্যানেজার সালাউদ্দিন অভিযোগ করেন পরবর্তীতে কোন মিমাংশা ছাড়াই শাহবন্দেগী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও ইউপি সদস্যের তদবিরে গত ১১ মার্চ বুধবার রাতে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ম্যানেজার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
জানা যায়, নঁওগা জেলার মান্দা উপজেলার হাটোইর গ্রামের ছামসুল মোল্লার ছেলে সালাউদ্দিন শেরপুর পৌর শহরের ধুনটমোড় এলাকায় ভান্ডারী আবাসিক হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে ম্যানেজার পদে কাজ করে আসছিল। বেশ কিছুদিন আগে শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ফজলুল ড্রাইভারের ছেলে জয়, আলাউদ্দিনের ছেলে নিরব ও তাদের সহকর্মী রিফাত এবং শুকুর ভান্ডারী হোটেলে মাদকসেবন করার জন্য সেখানে যায়। এতে হোটেলের ম্যানেজার সালাউদ্দিন তাদের নিষেধ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার উপর মাদকসেবীরা চড়াও হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার একপর্যায়ে তাকে দেখে নেয়া হবে মর্মে শাষিয়ে দিয়ে যায় তারা। এরই জের ধরে গত ১০ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে সালাউদ্দিনকে একা পেয়ে বেদম মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে উল্লেকিত যুবকরা। এ বিষয়ে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে আহত হোটেল ম্যানেজার সালাউদ্দিন।
তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে শেরপুর থানার এসআই আতিকুর রহমান গত ১১ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকালে খন্দকারটোলা এলাকা থেকে জয়(২০), নিরব (২০), রিফাত (১৯) ও শুকুর (২০)কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
অভিযোগ উঠেছে, শাহবন্দেগী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বিএনপি নেতা খন্দকার টোলা এলাকার ইউপি সদস্য মাহমুদুল হাসান লিটনের ভাতিজা হওয়ায় সুবাধে কোন প্রকার আপোষ-মিমাংশা ছাড়াই ওইদিন রাতেই আটককৃতদের তাদেরকে থানা থেকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বাদি সালাউদ্দিন।
এ ব্যাপারে তিনি অভিযোগ করেন, মারপিটের ঘটনায় শেরপুর থানায় অভিযোগ দেবার পর আসামীদের আটক করে এসআই আতিক। কিন্তু রহস্যজনক কারণে কেন তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে তা তার বোধগম্য নয়।
অন্যদিকে এ ব্যাপারে শেরপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আসামীদের আটক করা হয়েছিল ঠিকই কিন্তু উভয় পক্ষের লোকজন থানায় এসে মিমাংশা হওয়ায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।