স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকেই টাঙ্গানো রয়েছে নোভেল করোনা আক্রান্তের কারণ ও প্রতিকার মুলক নির্দেশনা ব্যানার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের সকল পূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিন তলায় ৩০১নং কেবিন সাজানো হয়েছে করোনা আক্রান্তের রোগীদের চিকিৎসা সেবা কক্ষ। এছাড়াও করোনা নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার আহবান জানিয়ে সকল চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মি নার্সগণ বলেন, “করোনা নিয়ে ভয় নেই আমরা প্রস্তুত”। ঠিক এমনি চিত্র উত্তরবঙ্গের সীমান্ত ঘেঁষা জেলা ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বলছে, বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী নোভেল করোনা ছড়িয়ে পড়লেও দেশের অভ্যন্তরে করোনা সংক্রমণ হয়নি। তবে বিদেশ ফেরত মানুষরা এ ভাইরাস নিয়ে দেশে আসলেও তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। সে ধারাবাহিকতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সও নিবিড় পর্যবক্ষেন কক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে। উপজেলায় এ ধরনের রোগে আক্রান্ত মানুষের খবর পেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন মনে হলে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ও পরিবহণে ঢাকা করোনা প্রতিরোধ সেন্টারের পাঠানো হবে। এছাড়াও উপজেলার ২৬টি কমিউনিটি ক্লিনিকে করোনা আক্রমণ ও প্রতিকারের বিষয় নিয়ে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তাছাড়াও উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মিরা তাদের নিয়ন্ত্রনিত ওয়ার্ড গুলোতে সচেতনমুলক প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডাঃ ফিরোজ আলম বলেন, প্রস্তুত করা হয়েছে করোনা নিয়ন্ত্রণ কর্ণার(কক্ষ)। করোনা নিয়ে আতঙ্ক হওয়ার কিছুই নেই। সচেতন হলেই এ রোগ আক্রমণের সুযোগ নেই। উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও প্রতিকারের প্রচারণা সহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রস্তুত করা হয়েছে করোনা নিয়ন্ত্রণ কর্ণার(কক্ষ)। তিনি দেশবাসীকে এ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।