করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে ভারতে প্রবেশ ঠেকাতে ভারতীয় চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রশেনকে যাত্রী না পাঠাতে চিঠি পাঠিয়েছে।
শুক্রবার(১৩ মার্চ) সকালে বুড়িমারী ইমিগ্রেশনকে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠায় ভারতীয় চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ নার্জিনারী। চিঠিতে বলা হয় বিকেল ৫টার পর থেকে কোনো যাত্রী গ্রহণ করবে না ভারত। এরপর বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে ভারত সরকার তাদের দেশে প্রবেশ ঠেকাতে প্রায় সব ধরনের ভিসা এক মাসের জন্য বন্ধ করেছে। সম্প্রতি ভারতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে দেশটির সরকার। তবে ভারতীয় কোনো নাগরিক তার দেশে প্রবেশ করতে চাইলে তারা যেতে পারবেন। তবে অন্যদেশের কোনো নাগরিককে চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশন গ্রহণ করবে না বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে।
এ কারণে শনিবার (১৪ মার্চ) থেকে বুড়িমারী ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারছে না ভারতীয় ছাড়া অন্যকোন পাসপোর্টধারী যাত্রী। জরুরী কাজে ভারত যেতে চাইলে অবশ্যই শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত শনিবার (১৪ মার্চ) সকাল থেকে বুড়িমারী চেকপোস্ট হয়ে কেউ ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে ভারতে থাকা বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীরা এ পথ হয়ে দেশে ফিরতে পারবেন।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বলেন, ভারত সরকারের সিদ্ধান্তে তাদের চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশন ভারতীয় ছাড়া অন্যকোনো পাসপোর্টধারীকে গ্রহণ করবে না বলে বুড়িমারী ইমিগ্রেশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে। তারা গ্রহণ না করলে শুক্রবার বিকেল ৫টার পর থেকে আমরা ভারতীয় ছাড়া অন্যপাসপোর্টের যাত্রী পাঠাবো না।