জেলার দুর্গাপুরে কলেজ পড়-য়া ছাত্রীকে ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলা করলো ইভটিজিংকারীরা। গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ উপলক্ষে স্থানীয় প্রেসক্লাব সভাকক্ষে উপস্থিত হয়ে শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শহিদুল ইসলাম (চাঁন মিয়া)। তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, তাঁর কলেজ পড়-য়া ভাতিজি বাড়ী থেকে কলেজে যাওয়া-আসার পথে দীর্ঘদিন ধরে নানা ভাবে ইভটিজিং করে আসছিলো ঐ গ্রামের বখাটে যুবক রুবেল মিয়া। শিক্ষার্থীর ভাই নাঈম মিয়া এতে প্রতিবাদ করায় গত ৭ মার্চ রাতে মৃত সিরাজ আলীর পুত্র আজিত মিয়া, তাঁর স্ত্রী রেহেনা খাতুন ও দুই ছেলে রুবেল মিয়া ও সোহেল মিয়া সহ অন্যান্যরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়া নাঈম এর বাড়ীতে গিয়ে তাদের উপর এলাপাথারী আক্রমণ চালায়। এতে নাঈম গুরুতর আহত হয়। বর্তমানে সে দুর্গাপুর সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হামলাকারীগন মামলা না করার জন্য নিয়মিত ভয়ভীতি প্রদর্শন পুর্বক বিভিন্ন ভাবে প্রান নাশের হুমকিও দিচ্ছে। বর্তমানে নিরাপত্তহীনতায় ভুগছে পরিবারটি। এ বিষয়টি দুর্গাপুর থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে উত্থাপিত হলে নেত্রকোনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস.এম আশরাফুল আলম ঘটনাটি তদন্ত শেষে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দুর্গাপুর থানা পুলিশকে নির্দেশ দিলে মেয়ের মা মোছা: আয়েশা আক্তার বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় মামলা একটি দায়ের করেন। সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আতাহার আলী, দিলোয়ারা বেগম, শিক্ষক আজিজুল ইসলাম, দিলোয়ার হোসেন তৌহিদা পারভীন প্রমুখ। অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতার পূর্বক দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছন সংবাদ সম্মেলনকারীরা।