১৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্বামী কর্তৃক স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোমবার সকালে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন তিমিরকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বালিকা বিদ্যালয় ও ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
দপদপিয়া জিরো পয়েন্টে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালীন সময় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা বলেন, দপদপিয়া তিমিরকাঠী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক মারুফা আক্তার পপিকে যৌতুকের দাবিতে কুপিয়ে জখমের ঘটনার মূলহোতা মাদকসেবী নুরে আলমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওহাব খানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার ও শিক্ষক মারুফা আক্তার পপি’র বাবা আইউব আলী হাওলাদার, মুক্তিযোদ্ধা এটিএম জিন্নাত আলী, আবদুল মোতালেব সিকদার, আবদুল লতিফ, আবুল বাশার হাওলাদার প্রমুখ।
সূত্রমতে, গত শুক্রবার বিকেলে যৌতুকের দাবিতে শিক্ষক মারুফা আলম পপিকে (৩৫) কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে তার পাষন্ড স্বামী নুরে আলম। স্থানীয়রা মুমূর্ষ অবস্থায় পপিকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ হামলাকারী একই এলাকার আবদুল ওহাব খানের পুত্র নুরে আলমকে গ্রেফতার করেছেন।
আহতের মা বিউটি বেগম জানান, দীর্ঘদিন পূর্বে নুরে আলমের সাথে তার মেয়ে মারুফা আক্তার পপির বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুইটি সন্তান রয়েছে। তিনি আরও জানান, ২০১৫ সালে নুরে আলম সাতশ’ বোতল ফেন্সিডিলসহ র্যাবের হাতে আটক হয়। ওই মামলায় নুরে আলমের যাবজ্জীবন সাজা দেয় আদালত। একবছর পর নুরে আলম জামিনে বের হয়ে ব্যবসার জন্য মারুফার কাছে ১৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। এতে রাজি না হওয়ায় প্রায়ই মারুফাকে নির্যাতন করা হতো। ঘটনার দিন বিকেলে ঘুমে থাকা মারুফাকে ধারালো চাক্কু দিয়ে এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে আহত করে স্বামী নুরে আলম। পরে মারুফার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে নুরে আলম পালিয়ে যায়।