গরু ধান গাছ খাওয়ার কে কেন্দ্র করে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি এক শিশু কে বেদম মারপিট করেছে। ছেলেকে রক্ষা করতে যাওয়া মাকেও নির্মম ভাবে পেটানো হয়েছে। নির্যাতনে হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন শেষে আদমদীঘি থানা পুলিশে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না দরীদ্র রানী বেগম। এই নির্মম নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার সান্তাহার পৌর এলাকার তিয়রপাড়া মহল্লায়। সোমবার ওই দরীদ্র পরিবারের প্রতিবেশীরা ঘটনার বিবরণ ও নির্যাতনের চিত্র ফেসবুকে ভাইরাল হলে ঘটনা জানাজানি হয়।
সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সান্তাহার শহরের ডাকবাংলো এলাকার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান লাভলু নামের এক ব্যক্তি তিয়রপাড়া মহল্লায় থাকা পুকুরে মাছ এবং নিজের জমি ছাড়াও সরকারি জমিতে ধান চাষ করেন। গত শনিবার সকালে ওই মহল্লার দরীদ্র জসিম উদ্দিনের শিশু ছেলে রাসেল তাদের গরু কে ঘাস এবং কচুরিপানা খাওয়ানোর জন্য নিয়ে যায় সেখান দিয়ে বয়ে যাওয়া খাল পাড়ে। একসময় অসাবধানতা বশতঃ গরু লাভলুর চাষ করা ধান ক্ষেতের ধান খায়। এটা দেখতে পেয়ে লাভলু ওই শিশু কে ধরে বেদম মারপিট করতে থাকে। ছেলের চিৎকারে এগিয়ে যায় মা রানী বেগম (৩৬)। এতে আরোও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে লাভলু। সে রানী বেগম কে নির্মম ভাবে পেটায়। এতে রানী বেগম অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রতিবেশীরা মা-ছেলে কে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করায়। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে রোববার আদমদীঘি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। থানা পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিলেও সোমবার এ রিপোর্ট পাঠানো সময় পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি, করেনি তদন্ত।
এ ব্যাপারে মোস্তাফিজুর রহমান লাভলু বলেন, রানী বেগম ও তার ছেলে অত্যন্ত খারাপ। বার বার নিষেধ করা সত্বেও গরু-ছাগল ছেড়ে দিয়ে আবাদ খাওয়ায়। এদিনও গরু দিয়ে ধান খাওয়ায়। এজন্য নিষেধ করলে সে বেয়াদবী করে। এজন্য কয়েকটা চড় দিই। এ সময় রানী এসে আমাকে ইটের ঢিল ছুড়ে মারে। চোখে চশমা থাকায় চোখ রক্ষা পায়। ঢিল মারা ছাড়াও সে আমাকে পেটাতে থাকে। আত্ম রক্ষায় আমি তার হাত থেকে লাঠি কেড়ে নিয়ে কয়েকটা বারি মেরেছি। এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ জালাল উদ্দিন জানান, অভিযোগ এবং নির্যাতনের ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।