হাম এবং রুবেলা ভাইরাসজনিত দুটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। এই দুটি রোগ সাধারণত একজন আক্রান্ত রোগীর হাঁচি-কাশির মাধ্যমে তার সংস্পর্শে আসা অন্যান্যের মধ্যে অতি দ্রুত ছড়ায়। তাই শিশু ছাড়াও যেকোন বয়সের মানুষের হাম-রুবেলা হতে পারে। তবে শিশুদের মধ্যেই হাম-রুবেলার প্রকোপ, জটিলতা এবং মৃত্যু বেশি দেখা যায় বলে জানিয়েছেন রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক। আগামী ১৮ মার্চ হতে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত হাম রুবেলা ক্যাম্পেইনের প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। এ ক্যাম্পেইনটি সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজশাহী সিভিল সার্জন অফিসের সভাকক্ষে রোববার (১৫ মার্চ) বিকালে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জানানো হয়- সম্ভাব্য ৪ লাখ ৭ হাজার ২১৪ জন শিশুকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন রাজশাহী সিভিল সার্জন অফিস।
সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক জানান, হাম-রুবেলা রোগে এবং এদের জটিলতার হাত থেকে বাঁচার সর্বোৎকৃষ্ট উপায় হচ্ছে সঠিক সময়ে শিশুকে হাম-রুবেলার টিকা দিয়ে সুরক্ষিত করা। তিনি বলেন, হাম-রুবেলা রোগের প্রকোপ থেকে সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) মাধ্যমে নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে ৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে ১ম ডোজ এমআর টিকা ও ১৫ মাস বয়সী সকল শিশুকে ২য় ডোজ এমআর টিকা সংযুক্ত করেছে।
আর এই ক্যাম্পেইনের উদ্যেশ্য হলো কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা। এ ক্যাম্পেইনে ৯ মাস হতে ১০ বছরের কমবয়সী সকল শিশুকে এ টিকা প্রদান করা হবে। পূর্বে হামের টিকা বা এমআর টিকা পেয়ে থাকলেও অথবা হাম বা রুবেলা রোগে আক্রান্ত হলেও ঐ বয়সের সকল শিশুকে ১ ডোজ এমআর (হাম-রুবেলা) টিকা দেয়া হবে।
সিভিল সার্জন জানান, এমআর ক্যাম্পেইন আগামী ১৮ মার্চ হতে ২৪ মার্চ পর্যন্ত স্কুল পর্যায়ে এবং ২য় ও ৩য় সপ্তাহে ২৮ মার্চ হতে ১১ এপ্রিল-২০২০ পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। টিকাদান কেন্দ্র হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নিয়মিত টিকাদান কেন্দ্র, স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র, অতিরিক্ত দুর্গম ও ঝুঁকিপূর্ণ টিকাদান কেন্দ্রসহ এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। আর সরকারি কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহী জেলার একটি শিশুও যেন এমআর টিকাদান থেকে বাদ না পড়ে এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে সিভিল সার্জন অফিস’র এম ও (সি এম) ডা. বার্ণাবাস হাসদাক, রাজশাহী ডাব্লুউ এইচ, ও এসআইএমও ডা. মাহবুব হাসান, সিভিল সার্জন অফিস রাজশাহীর ইপিআই সুপার নূর মোহাম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।