কুড়িগ্রামে সাংবাদিক নির্যাতনের হোতা সিনিয়র সহকারী কমিশনার নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মধ্যরাতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা, আসামীদের স্বজনদের মারধর এমনকি জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের কর্মচারিদের মারধরসহ নানা ধরণের অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১২টার দিকে নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের দেবিপুর গ্রামে এক অভিযান চালিয়ে সরকারি বিলে মাছ চাষের অভিযোগে বিশ্বনাথ ও বৃদ্ধ মজনু মিয়াকে ধরে এনে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এ সময় বিশ্বনাথকে মারধর করলে তার কাকা কাকা বাবলু নমদাস প্রতিবাদ জানান। একারণে তাকে কিল, ঘুষি ও লাত্থি দেন কমিশনার নাজিম উদ্দিন। পরদিন মজনু মিয়া আদালত থেকে জামিন নিলেও বিশ্বনাথের মামলার নথি নিতে গেলে গালিগালাজ করে ফিরিয়ে দিয়েছেন তার স্বজনদের।
বিশ্বনাথের কাকা বাবলু নমদাস বলেন, ‘নাজিম উদ্দিন স্যার আমাকে ২-৩টা লাত্থি দেন। আমি কয়েকদিন কাজ করতে পারিনি। এখনও ঠিকমত হাঁটতে পারিনা।’ বিশ্বনাথের ছোটবোন সুখ বালা বলেন, আমরা মামলার নতি নিতে নাজিম উদ্দিন স্যারের কোর্টে গেলে পেশকার নথি দেয়নি। পরে স্যারের সাথে দেখা করে নথি চাইলে তিনি ক্ষেপে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। নথির অভাবে জামিনের আবেদন করতে পারছিনা আমরা। এমনকি ক্রস ফায়ারের হুমকি দিতেন।’
এছাড়া জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখার কর্মচারী নুর ইসলাম সরকারকে তুচ্ছ কারণে মারধর করেন নাজিম উদ্দিন। শাখার কর্মচারিরা জানান, তাকে ডিসি অফিসের বারান্দা থেকে কলার ধরে নিজ কক্ষে টিনে হেচরে নিয়ে যান। একাধিক কর্মচারী অভিযোগ করেন তুচ্ছ কারণে তিনি মোবাইল কোর্টের হুমকি দিতেন।
জেলা প্রশাসন কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ৫০ জন তহশিলদার ও পিয়ন বদলীতে ২৫ থেকে ১ লাখ টাকা আদায় করেন। আবু বক্কর নামে তার দালালকে ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কামকম্পিউটার পদে সম্প্রতি চাকুরি দিয়েছেন। তার মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে জলমহাল ইজারা দিতেন। প্রয়োজনে লিজগ্রহীতার প্রতিপক্ষ লোকজনকে আটক করে মোবাইল কোর্টে সাজা দিতেন।