বগুড়ায় ইতালি ফেরত এক যুবককে নিয়ে বগুড়া শহরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি শহরে উত্তর চেলোপাড়া এলাকায় করোনাভাইরাস সন্দেহে ইতালি ফেরত সেই যুবকসহ পরিবারকে অবরুদ্ধ করে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। পরে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বশীলরা ঘটনা স্থলে গিয়ে তাদের ১৪ দিন বাড়ীতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় । যুবক মাসুদ (৩০) উত্তর চেলোপাড়ার হাসেম উদ্দিনের ছেলে।
ওই এলাকার কাউন্সিলর পরিমল কুমার জানান, ইতালি থেকে মাসুদ দেশে ফেরার পর তাকে রাজধানীর আশকোনার হজক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। সেখান থেকে তিনি পালিয়ে এসেছেন এবং তিনি করোনা ভাইরাসে তিনি আক্রান্ত এমন সন্দেহে গোটা এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। গত ১৪ মার্চ ওই যবক ইতালি থেকে ঢাকায় আসেন। পরে ১৫মার্চ গভীর রাতে তিনি বগুড়ায় আসেন।
এদিকে পরদিন সকাল থেকে এলাকায় খবর ছড়াতে থাকে যে, তিনি ঢাকার আশকোনা হজ্বক্যাম্প থেকে পালিয়ে এসেছেন এবং তিনি করোনায় আক্রান্ত । এমন গুজবে মঙ্গলবার সকালে থেকে এলাকার লোকজন ওই বাড়ির সামনে ভিড় জমায় এবং ইটালি ফেরত যুবককে এলাকা ছাড়তে বলে। পরে আইনশৃংখলা বাহিনী স্বাস্থ্য কর্মী এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে থাকে ।
এঘটনার সংবাদে বগুড়ার স্বাস্থ্য কর্মীরা সেখানে ছুটে যান এবং ওই যুবক তার পরিবারের সাথে কথা বলেন ।মাসুদ নামের ইটালি ফেরত ওই যুবক শুস্থ্য আছেন বলে তারা জানিয়েছেন।
বগুড়ার স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল ও স্থানীয় কাউন্সিলর সাংবাদিকদের সাথে আলাপ কালে জানান আমরা ‘বাইরে থেকে মাসুদ ও তার পরিবারের সাথে কথা বলেছি। তাদেরকে জানিয়েছি আপনারা কেউ ১৪ দিন ঘর থেকে বের হবেন না এবং এলাকাবাসীকে এ বিষয়ে নীরব থাকতে বলেছি। ওই পরিবারের কিছু প্রয়োজন হলে ফোনে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে।’
মাসুদের বাবা হাসেম আলী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। তার পরেও তাকে বাড়ীতে রাখা হয়েছে । কিন্তু আমাদের অবরুদ্ধ করে নির্যাতন করা হচ্ছে। বিষয়টি সিভিল সার্জন অফিসে জানিয়েছি।’
বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. গউসুল আযম বলেন, ‘উত্তর চেলোপাড়ায় আমাদের মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে। ইটালি ফেরত যুবকের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর আপাত্বত তিনি শুস্থ্য বলে জেনেছেন । তাকে ১৪দিন বাড়ী থেকে না বেড়–তে পরামর্শ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা সহ তার উপর নজর রাখার পর পরবর্তীতে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এমনটি জানানো হয় ।’ শেষ খবর পযন্ত এলাকার পরিস্থিতি শান্ত ছিল ।