“মুজিব শতবর্ষের দৃঢ় প্রত্যয় বাল্যবিবাহ আর নয়’’ এই স্লোগানের মধ্য দিয়ে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ২০০ শিক্ষার্থী পেলো বাইসাইকেল উপহার। আর এই সাইকেল পেয়ে উচ্ছাসিত হলো শিক্ষার্থীরা।
১৭ মার্চ (মঙ্গলবার) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকি পালন অনুষ্ঠানে রাজশাহী-১ আসনের সাংসদ ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরী প্রধান অতিথি থেকে ২০০ ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সাইকেল গুলো বিতরণ করেন। এবারের জেএসসি পরীক্ষায় উপজেলার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের তা উপহার দেওয়া হয়।
স্থানীয় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন উপজেলার যারা জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হবে তাদের সকল কে সাইকেল উপহার দেওয়া হবে । সেই প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতায় তা পূরণ করা হলো।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্য সম্মান আমরা পেয়েছি। বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক ভাষায় রুপান্তর থেকে শুরু করে যাবতীয় অর্জন হয়েছে এটিও বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাঙ্গালি জাতি পেতো না। সুতরাং বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষের যে প্রাপ্তি আন্তর্জাতিক ভাবে পাচ্ছি দেশীয় ভাবে সব এই মহামানব , মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবের নেতৃত্বের কারণে। যে মানুষ তার নিজের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বাঙ্গালির জন্য একটি নিরাপদ দেশ উপহার দেয়। শুধু উনি বুকের তাজা রক্তদেন নি। শুধু উনার পরিবারের দুই কন্যা ব্যাতিত সবাই তাদের পরিবারের তাজা রক্ত এই দেশের মানুষের জন্য দিয়ে গেছেন । আতœত্যাগ করেছেন।
তিনি আগামী দিনে নিরাপদ, বিএনপি-জামায়াত মুক্ত আওয়ামীলীগ গড়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে চান। তিনি বলেন যারা দিনে আওয়ামীলীগ আর রাতে বিএনপির হাতে হাত মেলান তাদের দলে ঠাঁই হবে না তাদের ছাঁটাই করে নিরাপদ আওয়ামীলীগ গড়তে চান।
এর আগে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মুজিব শর্তবর্ষ আয়োজনের আলোচনা সভা, কেক কাটা, দোয়া কামনা, শেখ মুজিবের ম্যুরালে পষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজমুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা ও সাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া খাতুন মিলি, সহাকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ ইমরানুল হক, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাসসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।