নীলফামারীতে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় এ বছর আলুর ফলনে বিপর্যয়ের আশঙ্কা ছিল চাষির। ৪৫ দিনের ব্যবধানে দুই দফা শৈত্য প্রবাহ, মধ্য রাতে অসময়ে গুড়ি গুড়ি বৃষ্ঠি ও তীব্র ঘন কুয়াশার কারণে আলু ক্ষেতে সমস্যা দেখা দেয়। বর্তমানে বাজারে হঠাৎ করে বেড়েছে আলুর দাম। তাই লোকসানের অপেক্ষায় না থেকে অনেক চাষিই অপরিপক্ক আলু জমি থেকে তুলে বাজারে বিক্রি করছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, চলতি মৌসুমে জেলার ৬ উপজেলার প্রায় ২১ হাজার হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। চাষের শুরুতে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আলু ক্ষেতে তেমন কোন সমস্যা হয়নি। তবে ফলনের শেষ মুহুর্তে তীব্র ঘন কুয়াশা ও দুই দফা মৃদু বৃষ্ঠির কারণে আলু ক্ষেত লেটব্রাইট রোগে নষ্ঠ হতে শুরু করে। অধিকাংশ ক্ষেতের আলু গাছ শুকিয়ে যায়। গোড়ায় দেখা দেয় পচঁন।
ফলে চাষিরা মারাত্বক ফলন বিপর্যয়ের আশংকায় পরে। অনেক চাষি জানায়, ডিসেম্বরের শেষ সময়ে যখন আলু গাছের গোড়ায় ফলন আসতে শুরু করে ঠিক তখনই বয়ে যায় শৈত্য প্রবাহ। এ অবস্থার বেশ কয়েকদিন উন্নতি না হওয়ায় রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ফলে প্রতিটি আলু গাছ হলুদ বর্ণ হয়ে যায়। কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে ছত্রাক নাশক স্প্রে করে কিছুটা প্রতিকার পেলেও দুই সপ্তাহ পর আবারও শৈত্য প্রবাহ শুরু হয়।
লেটব্রাইট রোগ আবারও দেখা দেয়। তাই ক্ষতির ঝুকি না নিয়ে অনেকে অপরিপক্ক আলু তুলে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এদিকে সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহিনা বেগম জানান, এ বছর উপজেলায় আলুর আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৯শ ১০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৫ ট্রিক টন।