এবার গভীর রাতে থানকুনির গুজব ছড়িয়ে পরে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে। ফলে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় রাতের ঘুম হারাম করে থানকুনি পাতার সন্ধানে দিগবিদিক ছোটাছুটি করার খবর পাওয়া গেছে।
করোনায় বিধ্বস্ত ইতালি, জার্মান, বাহারাইন, সৌদি আরব থেকে দলে দলে প্রবাসীরা আসায় ইতোমধ্যে বরিশাল বিভাগের ৯০জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে ও করোনা সন্দেহে একজনকে শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। ফলে কিছুটা আতঙ্ক দেখা দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলবাসীর মধ্যে। এদিকে আতঙ্কিত জনতার অনেকেই নানা সময় নানা গুজবে কান দিচ্ছেন। করোনা থেকে মুক্তি মিলবে এমন তথ্য পেলেই তা যাচাই-বাছাই না করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এমনই এক গুজবে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে ঘুম হারাম হয়েছে বরিশাল নগরীসহ পুরো বিভাগের বাসিন্দাদের।
সূত্রমতে, একজন প্রসিদ্ধ পীর স্বপ্ন দেখেছেন এমন গুজবের ওপর ভিত্তি করে তথ্য রটে, রাতের মধ্যে তিনটি থানকুনি পাতা খেলে করোনাভাইরাস আর সংক্রমিত হবেনা। মিলবে মুক্তি। সেই গুজবে সারাদিয়ে বরিশালসহ আশপাশের অঞ্চলের বাসিন্দারা রাতের আঁধারে থানকুনি পাতা সংগ্রহে নামেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেকেই চিবিয়ে খেয়েছেন থানকুনি পাতা। তারা বলছেন, এই থানকুনি পাতাই করোনাভাইরাসের উত্তম প্রতিষেধক।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার পর থেকেই শুরু হয়েছে এ গুজব। বরিশালের অনেকে ফেসবুকে এ নিয়ে পোস্টও দিয়েছেন। কেউ কেউ থানকুনি পাতা সংগ্রহ করতে পেরেছেন জানিয়ে ছবি পোস্ট করেছেন। কেউ কেউ স্বজন, বন্ধুদের ফোন করে ঘুম ভাঙাচ্ছেন এবং জরুরি ভিত্তিতে থানকুনি পাতা সংগ্রহ করে খাওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন।
নগরীর জিয়া সড়ক এলাকার নুরনবী নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, জৈনপুরী পীর সাহেব স্বপ্নে দেখেছেন যে, তিনটি থানকুনি পাতার আর এক গ্লাস পানি খেলে করোনাভাইরাস ছুঁতেও পারবে না। আর এই রাতের মধ্যেই পাতা তিনটি খেতে হবে। তাই তিনি এই গভীর রাতে থানকুনি পাতা সংগ্রহ করে নিজে ও পরিবারের অন্যান্যের সদস্যদের খাইয়েছেন। স্থানীয়রা সচেতন মহল মনে করছেন, এমন গুজবের উৎপত্তি কোথা থেকে এল তা কেউ স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না।