বিনা বেতনে ৯ বছর চাকরি অবশেষে মর্মান্তিক মৃত্যু। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ননএমপিও কলেজে এমএলএসএস পদে কর্মরত থাকে। দুপুর থেকে সন্ধা পর্যন্ত মেশিনে খোয়া ভাঙ্গার কাজ করে বাড়ীতে ফিরছিলেন। খোয়া ভাঙ্গা মেশিন উল্টে গিয়ে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায় মোস্তাফিজুর রহমান (৩১)। সে বাগমারা উপজেলার গুনিয়াডাঙ্গা গ্রামের আজাহার আলীর পুত্র। গত মঙ্গলবার সন্ধায় তার বাড়ীর সামান্য দুরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের মাতুম পড়ে যায়।
তার দুইটি মেয়ে। বড় মেয়ের বয়স ৪ বছর, ছোট মেয়ের বয়স ১ মাস। সংসারের আর্থিক অনটনের কারণে এক মাস পূর্বে খোয়া ভাঙ্গা কাজে যোগ দেয়। গত ৯ বছর পূর্বে নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার আইডিয়াল টেকনিক্যাল ভোকেশনাল স্কুল এ- বিএম কলেজে যোগদান করেন। তার পর থেকে বেতনের অপেক্ষায় দীর্ঘসময় অতিবাহিত করেন। কলেজ এমপিওভুক্ত না হওয়ায় বেঁচে থাকার তাগিদে খোয়া ভাঙ্গা কাজ করতে বাধ্য হয়। তার মৃত্যু ঐ কলেজের সকল ছাত্র/ছাত্রী, শিক্ষকমন্ডলীকে কাঁদিয়ে দিলো। এই মৃত্যুতে বৃদ্ধ মা-বাবা, তার দুই মেয়ে, স্ত্রীসহ পাঁচ পোষ্য পরিবার কিভাবে চলবে ? কে দিবে সংসারের উর্পাজন ? এই পরিবারের চারিদিকে শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার। লাশের পাশে চার বছরের মেয়ে মাহি বাবা বাবা বলে চিৎকার করছিলো। ঐ শিশুটির আর্তনা দেখে অজান্তেই সবার চোখ ভিজে যায়। হয়ে যায় সবাই হতবাগ। বৃদ্ধ মা-বাবা বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে সন্তানের মৃত্যুতে। গতকাল বৃধবার বেলা দুইটায় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পূন্ন হয়। তার জানাযায় এলাকার হাজার হাজার মানুষ শরিক হন।