নোয়াখালীর সেনবাগে ইটালী ও মধ্যপাচ্য পেরৎ ১৫ প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন ইটালী ও ১৩জন মধ্যপাচ্য থেকে বাংলাদেশে আসেছে। তাদের সকলেকে ২ সপ্তাহ (১৪দিন) নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে সেনবাগ উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগ। বিয়টি বৃহস্পতিবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পানা কর্মকর্তা (ইউএসপিও) ডাক্তার মতিউর রহমান।
তিনি জানান,দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্তে সংখ্য দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সরকার ওই ভাইরাসের সংক্রামন থেকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে বিদেশ পেরৎ প্রবাসীরা যাতে জন সমাগম যেমন, হাট,বাজার, পিকনিং স্পটে গুরাগুরি না করে নিজ বাড়িতেই অবস্থান করে। জ্বর,শর্দি ,কাশী, গলা ব্যাথা রোগীরা কারো সাথে হ্যান্ডশিক না করে এবং হাঁচি,কাশি দেওয়ার সময় নিরাপদ দুরন্তে থেকে নাকে মুখে রুমাল দিয়ে থাকে ও মাক্স পরিধান করে।
তিনি আরো জানান,ইতিমধ্যে মধ্যে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক সেনবাগ হাসপাতালে ৫ বেডের একটি আইসোলেট ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায় ক্রমে এটি ১০ বেডে উন্নীত করা হবে।
এছাড়াও প্রতিদিন হাসপাতালটিকে বর্হি বিভাগে থেকে ৩৫০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসে।
তাই জ্বর, শর্দি, কাশী ও গলা ব্যাথা রোগীদের জন্য ইতোমধ্যে ফ্লুল কর্ণার নামে ্আলাদা একটি চিকিৎসা সেবা বুথ চালু করা হয়েছে যাতে করোণা আক্রান্তদের রোগিদের থেকে রক্ষার জন্য আলাদা তাল আলাদা থাকে।
সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পানা কর্মকর্তা (ইউএসপিও) ডাক্তার মতিউর রহমান-এই ধরণের রোগীদের বর্হি-বিভাগের সাধারণ রোগীদের সাথে না মিশে ফ্লু কর্ণার থেকে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের অনুরোধ করেন।
এছাড়াও তিনি সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব,সামাজিক সংগঠনসহ সকল সেনবাগবাসীর প্রতি একটি অনুরোধ করেছেন, সাধারণ মানুষকে বাচাঁনোর জন্য যে কোন দেশের প্রবাসীরা দেশে আসলে তাদেরকে অন্তত ১৪দিন হোম কোরন্টাইনে রাখার জন্য কঠোরতা অবলম্বন করার আহবান জানান।