রাঙ্গামাটির শহরের কলেজ গেইট এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকা-ে অর্ধ শতাধিকেরও বেশী দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) মধ্যরাত সাড়ে ৩ টার দিকে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে স্থানীয় জনগন ফায়ার সার্ভিস, সেনা বাহিনীর লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে প্রায় ৩ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। অগ্নিকান্ডের প্রায় ২ কোটি টাকার বেশী ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাঙ্গামাটি ও কাউখালী ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট এই আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
স্থানীয় জনগন জানান, মধ্যরাত সাড়ে ৩ টার দিকে একটি বিকট শব্দে সকলের ঘুম ভেঙ্গে যায়। এই সময় বাইরে বের হয়ে দেখা যায় কলেজ গেইট এলকায় আগুন জ¦লছে। কিছু বুঝার আগেই মুহুর্তের মধ্যে আগুন পুরো কলেজ গেইট এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। কাছে সেনা রিজিয়ন থাকায় সেনা বাহিনীর সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে ছুটে আসে। কিছুক্ষণ পর ফায়ার সার্ভিসের ৫ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে থাকে। তবে পানি স্বল্পতার কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। রাতের বেলায় আগুনের কারণে কলেজ গেইট এলাকার ৫০ টিরও অধিক মুদির দোকান, চায়ের দোকান, ইলেক্ট্রনিক্স এর দোকান কেউ কোন মালামাল বের করতে পারেনি। কলেজ গেইট নিজের এলাকায় অসংখ্য ঘনবসতি রয়েছে। সৃষ্টিকর্তা রক্ষা করেছে না হলে আজ অনেক প্রাণহানীর ঘটনাও ঘটতো বলে এলাকাবাসীরা জানান।
রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক রতন কুমার নাথ জানান, আমাদেরকে খবর দেয়ার ৪ মিনিটের মধ্যে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। আমরা এসে দেখি পুরো বাজার জুড়ে আগুন ধরে গেছে। আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে কাউখালী ফায়ার ষ্টেশনকে খবর দেয়। তারা ও এসে আমাদের সাথে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। প্রায় ৩ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। ভাগ্য ভালো বাতাস ছিলো না বাতাস থাকলে হয়তো নিচের পাড়ায় বসতবাড়ীতে আগুন ছড়িয়ে গেলে অনেক ক্ষতি হতো।
অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ, সেনা রিজিয়নের জিটু আই, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর উত্তম কুমার দাশসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ছুটে যান।