বরগুনা জেলায় বুধবার সকাল ৮ টা থেকে বৃহহস্পতিবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুসারে ৯১ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। এর মধ্য গত ২৪ ঘন্টায় রয়েছে, ৪৫ জন। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি প্রমোদ প্যাটেলের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়েছে, আইসিডিসি আর। আগামী ২৪ ঘন্টায় রিপোর্ট পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন, হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডাঃ সোহরাব হোসেন।
এদিকে সম্প্রতি প্রবাস ফেরত কিছু ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টাইনে বা কোনো ধরণের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ছাড়াই অবাধে লোকালয়ে ঘোরাফেরা করছেন এমন তথ্য পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে প্রবাস থেকে ফিরে আসা বেশ কয়েকজন অবাধে ঘোরাফেরা করছেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা সদরে অন্তত ৩০ জন ব্যক্তি সম্প্রতি প্রবাস থেকে ফিরেছেন। কিন্তু করোনার ঝুঁকি এড়াতে এরা হোম কোয়ারেন্টাইন এড়িয়ে রীতিমত লোকালয়ে ঘোরাফেরা করছেন। বিশেষ করে বরগুনা সদর উপজেলার ১০নং নলটোনা, ৯নং এমবালিয়াতলীসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন থেকে প্রবাস ফেরত ব্যক্তিদের অবাধে চলাফেরার তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও জেলার বামনা উপজেলাসহ অন্যান্য উপজেলাগুলোতে বেশ কয়েকজন সম্প্রতি কুয়েত, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর ও সৌদী আরব থেকে দেশে ফিরেছেন।
এ বিষয়ে বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ুন শাহীন খান বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের নিয়মিত স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন খোঁজ খবর নিচ্ছেন। প্রবাসীদের ফিরে আসার ব্যাপারে আমরা প্রতিদিনই তথ্য সংগ্রহ করছি। প্রবাস ফেরত কেউ আমাদের নজর এড়িয়ে রয়েছেন এমন তথ্য আমাদের জানা নেই। আমরা সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে স্বাস্থ্যকর্মীদের কড়া নির্দেশনা দিয়েছি।
জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, আমরা আমাদের যতগুলো অর্গান রয়েছে কাজে লাগিয়েছি। স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে জেলা প্রশাসন নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। আমরা জরুরি নিয়ন্ত্রন কক্ষ খুলে যোগাযোগের জন্য মুঠোফোন নম্বর উন্মুক্ত করে দিয়েছি। কেউ কোথাও প্রবাস থেকে ফিরলে আমরা খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছি। এর বাইরেও যদি কেউ নজর এড়িয়ে অবাধে চলাফেরা করে আমরা খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।