করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিতে পর্যটন শুন্য হয়ে পড়েছে রাঙ্গামাটিতে। আর রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাঙ্গামাটিতে পর্যটক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা ও সকল ধরনের পর্যটন স্পট বন্ধ ঘোষণা করায় পর্যটন স্পটগুলো জনশুন্য হয়ে পড়ে রয়েছে।
সাপ্তাহিক ছুটিতে অবকাশ যাপনে প্রাকৃতিক সৌর্ন্দযের লীলাভূমি রাঙ্গামাটিতে প্রতিদিন পর্যটকদের ঢল নামে। সকাল আর বিকেল বেলায় প্রতিটি পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে। আর শহরের বিনোদন কেন্দ্রগুলো লোকে লোকারণ্য। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রভাবে রাঙ্গামাটিতে আসা কমিয়ে দিয়েছেন পর্যটকরা। আবার অনেকেই বাতিল করেছেন হোটেলের অগ্রিম বুকিং। আর পর্যটকদের নিরুসাহিত করতে পর্যটনের সব কয়টি স্পট বন্ধ ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
ইটপাথরের শহর ও যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি দূর করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমন পিপাসু মানুষরা পাহাড় আর হ্রদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে রাঙ্গামাটি ছুটে আসেন। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে আগত পর্যটকরা রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতুসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়ান। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে পর্যটকের আনাগোন নেই বললেই চলে। এতে করে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
রাঙ্গামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ডেপুটি ম্যানেজার মোঃ আলী আজগর বলেন, করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে প্রায় এক সপ্তাহ যাবৎ পর্যটকের আনাগোন প্রায় শুন্য। দুই একজন পর্যটক আসলেও তাদেরকে আমরা নিরুসাহিত করছি। আর আমরা প্রশাসন থেকে নিদের্শনা পাওয়ার পর পর্যটনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
এব্যাপারে রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শিল্পী রাণী রায় বলেন, ঢাকা থেকে নির্দেশনা মোতাবেক রাঙ্গামাটির সকল ধরনের পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। করোনা সম্পর্কে পর্যটকরা যাতে সচেতনতা অবলম্বন করে এবং পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ রাখা হয় তার জন্য প্রশাসন থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। এই ব্যাপারে হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষসহ পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যাতে করে তারা পরবর্তী নিদের্শ না দেয়া পর্যন্ত পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ রাখে।