“কোন সাংবাদিককে গ্রেফতারের পূর্বে অবশ্যই তার কর্মরত প্রতিষ্ঠান বা কর্মরত মিডিয়ার অনুমতি নিতে হবে - মহামান্য হাইকোর্ট ”ও “সাংবাদিক গ্রেফতারের আগে কর্মরত প্রতিষ্ঠান মিডিয়ার অনুমতি নিতে হবে কিংবা আগে জানাতে হবে - বিএমএসএফ” সংক্রান্ত দু’টি ফেসবুকের খবর ভাইরাল হয়েছে। “সাংবাদিক রিয়াজ’ ও “আসিফ ইকবাল” নামের দু’টি ফেসবুক আইডি থেকে দেশের সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টের বরাত দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েপড়া ওই খবরে নড়াইলের সকল মহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। খবরটির তথ্যসূত্র ও সত্যতা নিয়ে স্থানীয় সচেতন মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ওই ঘটনায় কালিয়া উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মোঃ শাহীদুল ইসলাম বুধবার (১৮ মার্চ) রাতে কালিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, সরকারি গাছ নিধন ও চুরি মামলার পলাতক আসামি রিয়াজ সরদার ও তার ঘনিষ্ট সহযোগী হাচিবুর রহমান হচিব “সাংবাদিক রিয়াজ” ও “ আসিফ ইকবাল” নামে তাদের নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে সম্প্রতি দেশের সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টের নাম ভাঙ্গিয়ে নিজেদের আইডিতে উল্লিখিত খবর দু’টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে নিজেদের অপকর্মের পথ সুগম করতে স্থানীয় প্রশাসনসহ সকল মহলকে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। অপরদিকে, হাইকোর্ট থেকে ওই ধরনের আদেশ দানের বিষয়ে এ পর্যন্ত দেশের কোন সংবাদ মাধ্যমে ওই ধরণের খবর প্রকাশিত না হওয়া স্বত্ত্বেও হাইকোর্টের নাম ভাঙ্গিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবরটি ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় অনেকেই বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন।
কালিয়া থানার ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’