বাগেরহাট-৪ আসনের (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) উপ-নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা এলাকায় এলাকায় টহল দিচ্ছে। ভোটাররা যাতে ভোট কেন্দ্রে এসে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে তার জন্য নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আগামীকাল শনিবার ২১ মার্চ সকাল নয়টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। চলবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। এদিকে, শুক্রবার সকাল থেকে নির্বাচনী এলাকার ১৪৩টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌছে দেয়ার কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।
অংশ নেয়া প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা ১৮ মার্চ মধ্যেরাত থেকে শেষ হয়েছে। এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন এবং জাতীয় পার্টির সাজন কুমার মিস্ত্রী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এই আসনে তিন লাখ ১৬ হাজার ৫১০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৫৮ হাজার ৭৯১ জন ও এক লাখ ৫৭ হাজার ৭১৯ জন নারী ভোটার রয়েছেন।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও বাগেরহাট-৪ আসনের রিটার্নীং কর্মকতা মো. ইউনুচ আলী বলেন, বাগেরহাট-৪ আসনের অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপনির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। ভোট নির্বিঘœ করতে দশ প্লাটুন বিজিবি, দুই প্লাটুন কোস্টগার্ড, র্যাবের ১০টি টিম নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ইতোমধ্যে এলাকায় এলাকায় টহল দিচ্ছে। এই নির্বাচনে ২৩ জন নির্বাহী, দুইজন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, পুলিশের ২১টি ভ্রাম্যমাণ টিম এবং দশটি স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে সার্বক্ষনিক নিয়োজিত থাকবে। এই আসেনের ১৪৩টি ভোট কেন্দ্রে স্বচ্ছ ব্যালট ব্যাক্স, সিলসহ সব সরঞ্জাম পৌছে দেয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভোট উপহার দিতে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পাঁচজন করে পুলিশ সদসৗ ১২ জন আনসার সদস্য থাকবে।নির্বিঘ্নে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে আহ্বান জানান ওই কর্মকর্তা।
গত ১০ জানুয়ারি বাগেরহাট-৪ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন উপ-নির্বাচনের তফসীল ঘোষণা করে। ঘোষিত তফসীল অনুযায়ী ১৯ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগম বিএনপি ও জাপার তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করে। বিএনপি দলীয় প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান ঝণ ও কর খেলাপী হওয়ায় তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।