রাজশাহীর বাঘায় করোনা নিয়ে বিএনপির ব্যঙ্গাত্মক লিফলেট বিতরনের অভিযোগে যুবদল নেতা আবদুল লতিফকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে মিলিকবাঘা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা যায়, বুধবার (১৮ মার্চ) রাতে বাঘা উপজেলা বিএনপি’র পক্ষে করোনা নিয়ে বিতরণ করা লিফলেটে লেখা রয়েছে, হাত ধোয়ার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার না পাওয়া গেলে বা দাম বেড়ে গেলে সাবান কিনেন। সাবানের দাম বেড়ে গেলে লেবু কচলে হাত ধোবেন। লেবুর দাম বেড়ে গেলে লবন দিয়ে হাত ধোবেন। লবনের দাম বেড়ে গেলে গরম পানিতে হাত ধোবেন। পানির দাম বেড়ে গেলে আগুনের উপর কিছুক্ষণ হাত রাখবেন। প্রচারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। সেখানে তাদের দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পাকুড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ বৃহস্পতিবার রাতে বাদি হয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফকরুল হাসান বাবুলকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৫/৭ জন অজ্ঞাত করে বাঘা থানায় একটি ডিজিটাল আইনে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় বাঘা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আবদুল লতিফকে আটক করে পুলিশ। আটক আবদুল লতিফ উপজেলার মিলিকবাঘা গ্রামের মৃত সায়দার আলীর ছেলে।
এ বিষয়ে বাঘা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু বলেন, খালেদা জিয়া মুক্তি দাবি’র সাথে করোনা নিয়ে যে ধরণের ব্যঙ্গাত্নক কথা সম্বলিত লিফলেট বিএনপি’র লোকজন প্রচার করেছে, এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে জরুরী আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
বাজুবাঘা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির নেতা খন্দকার মনোয়ারুল ইসলাম মামুন বলেন, এ সময় করোনা একটি ভাইরাস জনিত রোগ। দেশের ক্লান্তিময় মুহুর্তে সরকারকে তাচ্ছিল্য করে এ ধরনের লিফলেট বিতরণ মোটেও কাম্য নয়।
বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, করোনা নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক লিফলেট বিতরনের অভিযোগে আবদুল লতিফ নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তাকে শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে করোনা ভাইরাস নিয়ে যখন জনসচেতনতার বার্তা মানুষের মাঝে পোঁছে দেয়া হচ্ছে, তখন সরকার বিরোধী কোন রাজনৈতিক দলের কতিপয় নেতার মাধ্যমে এ ধরনের লিফলেট বিতরণ কাম্য নয়। তবে এ বিষয়ে কেউ সিন্ডিকেট করার চেস্টা করলে, তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।