কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর পৌরসভা চাল মজুতদার, পাইকারী চাল ব্যবসায়ী সহ ১১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে চালের বাজার এক সপ্তাহে ব্যবধানে অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি চালে ৬-৭ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে বলে এলাকায় অভিযোগ উঠেছে। চালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে নি¤œমধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনেরা বর্তমানে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। সারা দেশে যখন লোকজনের মধ্যে যখন করোনার ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে সেই সুুযোগে চাল ব্যবসায়ী সহ নিত্যপন্য ব্যবসায়ীরা এই সুযোগটি নিচ্ছে বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। গত এক সপ্তাহ আগে বিআর-২৮ চালের দাম ৫০ কেজি বস্তা ১৮০০ টাকা ছিল সেই বস্তা বর্তমানে ২৩০০ টাকা, বিআর-২৯ চালের দাম প্রতি বস্তা ১৭৫০ টাকার স্থলে বর্তমানে ২১০০ টাকা, বিরুই প্রতি বস্তা ১৮০০ টাকা স্থলে বিক্রি হচ্ছে ২২০০ টাকা, বিআর-৪৯ প্রতি বস্তা ১৬০০ টাকার স্থলে ২০০০ টাকা, বিআর-২২ প্রতি বস্তা ১৪০০ টাকার স্থলে ১৮০০ টাকা, আতব মোটা ১৩৫০ টাকার স্থলে ১৭০০ টাকা ও আতব ২৮ প্রতি বস্তা ১৮০০ টাকার স্থলে ২১০০ টাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা এই সুযোগটি নিচ্ছে বলে বিভিন্ন ক্রেতারা এসব দোকানে উপচে পড়ে বাড়তি দামে জিনিস গুলো ক্রয় করছেন। এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সাংবাদিকের দোহাই দিয়ে চালের দাম বেড়েই দিচ্ছে। এই দিকে চাউল ছাড়া ও বিভিন্ন মনোহারী দোকানে গত বুধবারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০ টাকায় বিক্রি হতো সেই পেঁয়াজ বর্তমানে ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি করছে। বিভিন্ন ঔষুধের দোকানে যে মাস্ক ১০ টাকায় বিক্রি হতো সেটিও বর্তমানে করোনার ভাইরাসের সুযোগ নিয়ে ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেও সাধারণ জনগনকে সংকট দেখাচ্ছেন। অন্যদিকে ঔষুধের দাম হু হু করে বেড়েই চলেছে। কারো কোনো তোয়াক্কা নেই বলে প্রত্যক্ষদর্শী জনগনরা হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। গতকাল শুক্রবার সকালে বাজিতপুরের পাইকারীর চাল ব্যবসায়ী ও মজুতদার সোহাগ মিয়া ও রুবেল মিয়াকে চালের দাম বেড়ে যাওয়ার সম্পর্কে মুঠোফোনে প্রশ্ন করা হলে তারা বলেন, বর্তমানে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে চালের দাম বেড়েছে বলে উল্লেখ করেন। এলাকাবাসীর একটিই প্রশ্ন প্রশাসন কি এই বিষয়ে তদন্ত করবেন কী?