মেহেরপুরের গাংনীতে কতিপয় সিন্ডিকেটের কারসাজিতে ভোগ্য পন্য’র বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে গত কয়েকদিন চাল,পিয়াজ,রসুন সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য’র মূল্যে বৃদ্ধি করেছে ব্যবসায়ীরা। মূল্যে বৃদ্ধি ফলে জনজীবনে প্রভাব পড়েছে। বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষ গুলো। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,কতিপয় সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা করোনা সহ নানা অজুুহাতে বাড়াচ্ছে ভোগ্য পণ্যে’র বাজার। কাঁচা বাজারের শাক-সবজি থেকে শুরু করে চাল-ডাল, মসলা সব কিছুর দামই এখন উর্দ্ধমুখী। চালের ব্যবসায়ীরা বাড়তি লাভের আশায় হোটেল মালিক সহ ক্রেতাদের কাছে গোপনে চাহিদার তুলনায় বেশি চাল বিক্রি করছে। কয়েকজন হোটেল মালিক ও চাল ক্রেতা জানান,চালের মূল্যে বৃদ্ধি হয়ে এমন আশংখায় সকলেই চাহিদার তুলনায় বেশি ক্রয় করছে তাদের দেখাদেখি আমরাও ক্রয় করছি। গত কয়েকদিনে বস্তা প্রতি ৪ থেকে ৬শ’টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে চাল সিন্ডিকেট। গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান স্বপন জানান, ইতোমধ্যে চাউল ব্যবসায়ীদের নিয়ে বেঠক করেছি। কোন ভাবেই ভোগ্য পন্য’র মূল্যে বৃদ্ধি করা যাবেনা বলে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। বামুন্দী বাজার কমিটির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল বলেন,চাল সহ নিত্য প্রয়োজনয়ি ভোগ্যপন্য'র দোকান মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে। সতর্কবার্তা না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে চাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য’র মূল্যে বৃদ্ধি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান। এ ছাড়া গাংনী ও বামুন্দী বাজারের বেশ কয়েকজন চাউল, পিয়াজ ও রসুন ব্যবসায়ী নজরদারিতে রয়েছে। গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক বলেন,ভোগ্যপন্য’র মুল্যে না বাড়ে এজন্য আমরা বাজার তদারকি করছি। কারোর প্রচরনায় আতঙ্কিত হয়ে চাল মজুদ না করতে আহবান জানানো হচ্ছে। যদি কেউ জনগককে কষ্ট দিয়ে মূল্যে বেশি নেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন,চালের মূল্যে বৃদ্ধি না করতে ব্যবসায়ীদের সাথে কয়েক দফায় যোগাযোগ করা হয়েছে। এমনকি তাদের আড়ত কিংবা দোকানে গিয়ে সতর্ক করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান,মিল থেকে চাল বেশি মূল্যে চাল ক্রয় করতে হচ্ছে একারনে কিছুটা চালের দাম বেড়েছে। এ ছাড়া ধানের কিছুটা সংকট রয়েছে। এদিকে ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষ বাজার মনিটরিং না করার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভুক্তভুগীরা। গাংনী থানার ওসি মো: ওবাইদুর রহমান জানান,যেখানে অনিয়ম পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষনাক ব্যবস্থা নিচ্ছে। ইতোমধ্যে গাংনী হাসপাতাল বাজার ও বামুন্দীর বেশ কয়েকটি দোকান মালিককে সতর্ক করা হয়েছে।