আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে খোশ মেজাজেই আছেন ১১ নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী বিশিষ্ট সমাজসেবক নূরুল হুদা চৌধুরী। তিনি ঠেলাগাড়ী প্রতীক পাওয়ার পরেই ভোটারদের ধারে ধারে ঘুরছেন। দিন-রাত পরিশ্রম করছেন। সমর্থকদের মন জয় করার নানা চেষ্টা তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন। নিজের যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা তুলে ধরছেন ভোটারদের মাঝে। ভোটাররাও তাঁর ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বিশেষ করে মুরব্বী শ্রেণির ভোটাররা তাঁকে ভোটের মাঠে উৎসাহ দিচ্ছেন। অতীতে তাঁর কর্মকাণ্ড নিয়ে ভোটাররা পাড়ায় পাড়ায় আলোচনা করছেন। এরমধ্যে তাঁর সমর্থকরা জয়ের বিষয়ে ক্রমেই আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, এখানে আড়াই লক্ষাধিক লোকের বসবাস। ওই নির্বাচনকে সামনে রেখে এই ওয়ার্ডে অন্য কাউন্সিলর প্রার্থীরাও মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন। দোয়া চাইছেন নানাভাবে। কাউন্সিলর প্রার্থী মোরশেদ আকতার চৌধুরী, নূরুল হুদা চৌধুরী, অধ্যাপক মো. ইসমাইল, মো. এনামুল হক বাবলু ও সোহরাব হোসেন শাহীন সবাই জয় লাভের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। এক কথায় তাঁরা কেউ কারও থেকে প্রচারণায় পিছিয়ে নেই। ওই ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা অন্তত ৬৫ হাজার। ডা. ফজলুল- হাজেরা ডিগ্রি কলেজ ওয়ার্ডের একমাত্র উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন গণপরিবহনের অভাবে শিক্ষার্থীরা নানা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছেন। বাস সার্ভিস প্রয়োজন হলেও নেই। এখানে ৪-৫টি মাধ্যমিক স্কুল আছে। কিন্তু কোনোটিই সরকারি নয়। ৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। নানা সমস্যা রয়েছে এই ওয়ার্ডে। এরমধ্যে সর্বদলীয় নাগরিক ঐক্য পরিষদের সমর্থন নিয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন মো. নূরুল হুদা চৌধুরী (মার্কাণ্ডঠেলাগাড়ী)। যিনি নিজকে আওয়ামী পরিবারের একনিষ্ঠ এবং ত্যাগী ব্যক্তি হিসেবে ভোটারদের কাছে পরিচিত। তিনি ইতঃপূর্বে সমাজে অবহেলিত মানুষদের জন্য ব্যাপক কল্যাণমূলক কাজ করেছেন। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া এবং গরীব মেয়েদের বিয়েতে তিনি সাধ্যমত সাহায্য করেছেন।
গত সোমবার রাতে নয়াবাজার এলাকায় একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে বিশিষ্টজনদের নিয়ে তিনি এক মত বিনিময় সভার আয়োজন করেন। সভায় তিনি জনগণের সেবক হিসেবে সেবা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি স্বল্প আয়ের মানুষের সন্তানদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলার পাশাপাশি দুর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠনের নানা স্বপ্নের কথা তুলে ধরেন উপস্থিত লোকজনের মাঝে। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানে সহযোগিতার আশ্বাস, বাসিন্দাদের সর্বোচ্চ নাগরিক সুবিধা প্রদানের অঙ্গীকার এবং দক্ষিণ কাট্টলীকে একটি মডেল ওয়ার্ড হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা নিয়ে এবার তিনি নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন। এতে ভোটারদের কাছে তিনি সাড়াও পাচ্ছেন। তিনি নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়ন ও বাসিন্দাদের বিভিন্ন নাগরিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন। ওদিকে ১১, ২৫ ও ২৬ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে বর্তমান কাউন্সিলর জেসমিনা খানম, হুরে আরা বিউটি, সুপ্তি তলাপাত্র পলি ও রাধারাণী দেবী নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।
আজ শুক্রবার সকালে সরজমিনে জানাগেছে, কাউন্সিলর প্রার্থী মোরশেদ আকতার চৌধুরী(মার্কাণ্ডঘুড়ি), নূরুল হুদা চৌধুরী(মার্কাণ্ডঠেলাগাড়ী), অধ্যাপক মো. ইসমাইল (মার্কাণ্ডটিফিন ক্যারিয়ার) ও সোহরাব হোসেন শাহীন(মার্কাণ্ডলাটিম) এই চার প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হবে। এরইমধ্যে নতুন প্রার্থী হিসেবে নূরুল হুদা চৌধুরী বেশ ভাল ভাবেই ভোটারদের মাঝে পরিচিতি লাভ করেছেন। শিক্ষিত এবং সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান নূরুল হুদা চৌধুরী তাঁর প্রতিশ্রুতিগুলো খুব সাবলীল ভাষায় ভোটারদের মাঝে উপস্থাপনা করছেন। বিশেষ করে তাঁর সামাজিক কর্মকাণ্ড নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝেও বেশ উদ্দীপনা তৈরী হয়েছে। তিনি নির্বাচিত হলে লুটপাট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বরং মানুষের সেবা করেই জীবনের শেষ সময়টা কাটাবেন। তাঁর এমন প্রতিশ্রুতিতে জনগণও খুশি। কাউন্সিলর প্রার্থী নূরুল হুদা চৌধুরী শীর্ষ অনলাইন নিউজ এজেন্সি এফএনএসকে বলেন, আমি নির্বাচনী মাঠে আছি এবং থাকবো। মানুষ আমাকে হৃদয় দিয়েই ভালবাসেন এটা কাউন্সিলর প্রার্থী হয়ে বুঝতে পেরেছি। আল্লাহর অশেষ রহমত এবং মানুষের ভালবাসাকে আমি মূল্যায়ন করবো। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে ভোটাররা আমাকে জয়যুক্ত করবেন। এমনটাই আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন; যাতে আমি কামিয়াব হতে পারি।