নির্যাতনের বর্ণনা দেয়ায় ফাঁসিয়ে দেবার চক্রান্ত করছেন আরডিসি নাজিম। এতে করে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে নির্যাতনের বর্ণনাকারী ব্যবসায়ী আঙ্গুর। ২০ মার্চ শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আঙ্গুর জানান, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের পঞ্চায়েত পাড়ার কৃষক খালেকুজ্জামানের বাড়ীতে গভীর রাতে ভ্রাম্যমান আদালতের নামে তান্ডব চালান নাজিম উদ্দিন। ওই ইউনিয়নের দেবীকুড়া নামক বিল নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের যোগসাজসে খালেকুজ্জামানের বাড়ীতে ভ্রাম্যমান আদালতের নামে দরজা, জানালা ভেঙ্গে তাকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে নিয়ে আসেন। এ সময় তাদের বাধা দিতে গেলে তার স্ত্রী, সন্তান ও নাতিসহ পার্শ্ববর্তী অনেককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ লাঠি পেটা করেন নাজিম। পরে কৃষক খালেকুজ্জামানকে গাড়িতে তুলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ধরে নিয়ে যান। পথিমধ্যে খালিকুজ্জামানের নিকট ২ লাখ টাকা মুচলেকা দাবী করেন। অন্যথায় জেলে দেয়ার হুমকী দেন। সে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মধ্যরাতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নীচ তলায় একটি রুমে বসিয়ে ৬ মাসের জেল প্রদান করেন। বর্তমানে জামিনে রয়েছেন তিনি। আর এ ঘটনার সত্য বর্ণনা দেয়ায় জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি।
ব্যবসায়ী আঙ্গুর আরও বলেন আরডিসি নাজিম আমাকে ফাঁসিয়ে দেবার জন্য নানা চক্রান্ত করছেন। অন্যদিকে আরডিসি নাজিমের দালাল হিসেবে পরিচিত কুড়িগ্রামের নাগেশ^রী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের ভাঙ্গামোড় গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক ফোন করে নানা ভাবে ফাঁদে ফেলার চক্রান্ত করছেন। তার হুমকির কারণে আমি ঠিকভাবে ব্যবসা করতে পারছি না। ঠিকমতো খেতে পারছি না। এমনকি বাড়িতেও থাকতে পারছি না।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন ব্যবসায়ী অঙ্গুরের বাবা খালেকুজ্জামান মজনু। তিনি বলেন, নির্যাতনের সঠিক তথ্য সাংবাদিকদের জানানোর কারণে আজ আমরা পুরো পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আঙ্গুর ও তার পরিবার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সরকারের কাছে আকুল আবেদন করেছেন।