ঝালকাঠির রাজাপুরে ডহরশংক হাইলাকাঠি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটিতে ১০ বছর ধরে বার বার সভাপতি হচ্ছেন ও রাজাপুর উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি মা. সবুর হাওলাদার। মাদ্রসার সুপার মো. মাহবুবুর রহমানের সাথে যোগসাজশে ভূয়া ভোটার তালিকা তৈরী করে তিনি সভাপতি হচ্ছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এ ছাড়া এই মাদ্রসার সভাপতি ও সুপারের বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময় শিক্ষক নিয়োগেরও অভিযোগ রয়েছে।
মাদ্রসার অভিভাবকদের পক্ষে মো: কাওসার হোসেন ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক বরাবর এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগে কাওসার হেসেন উল্লেখ করেন, কোন প্রকার নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতার অপব্যাবহার করে ১০ বছর ধরে সভাপতি পদে রয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি নেতা আবদুস সবুর হাওলাদার। নির্বাচনের আগে ভূয়া ভোটার তালিকা তৈরী করে তিনি বারবার এই মাদ্রাসার সভাপতি হয়ে আসছেন। তাকে সহযোগিতা করছেন এই মাদ্রসার অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর রহমান। এ ছাড়া সভাপতি ও অধ্যক্ষ মিলে শিক্ষক নিয়োগেও ঘুষ বানজ্য করেছেন। জাল জালিয়াতি করে ৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে প্রত্যেক জনের কাছ থেকে ৬ লাখ করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও কাওসার রহোসেন বলেন, মাদ্রসার সুপার মাহবুবুর রহমান মাদ্রসার রিজার্ভ ফান্ডের ১ লাখ টাকা ও মাঠ ভরাটের জন্য বরাদ্দ পাওয়া ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা আত্বসাত করেছেন।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. সবুর হাওলাদার বলেন ২০০৯ সালের আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার ২ বছর পর থেকেই সিলেকশনের মাধ্যমেই কমিটি গঠন করে আমাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। এবারেও ফরম ছাড়া হয়েছে, যারা সদস্য হতে আগ্রহী তাদের ফরম দেওয়া হচ্ছে।
মাদ্রাসার সুপার মাও. মাহবুবুর রহমান বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সাথে আলাপ করে সকল নিয়ম কানুন মেনেই মাদ্রসার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে এ মাদ্রসার অফিস সহকারী নাসির উদ্দিন সুপারের বক্তব্যে দ্বিমত পোষন করে বলেন, মাদ্রাসার সকল নিয়োগ কার্যক্রম সুপারের বাসায় বসে রাতে ও বিকেলে করা হয়েছে।