বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বিদেশ ফেরতদের বেশিরভাগই মানছে না কোয়ারেন্টিন। ফলে চরম আতঙ্কে রয়েছেন সচেতন মহল। এ ছাড়া বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃস্টির মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করেছে অসাধু ব্যবসায়ী মহল। ওই সকল ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের জোর তদারকি দাবী করছেন সাধারণ মানুষ। শুক্রবার মসজিদে মসজিদে করোনাভাইরাস রোধে/মুক্তিপেতে বিশেষ দোয়া/আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করা হয়।
তথ্যানুসন্ধানীতে প্রকাশ-অতিসম্প্রতি/গত কয়েকদিনে বিদেশ থেকে ৩১৮জন মোল্লাহাটে আসছে। এদের বেশিরভাগ কোয়ারেন্টিন না মেনে আত্মীয়-স্বজনসহ বাজার-ঘাট দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যে, কারণে সচেতন মহল আতঙ্কে আছেন বলে একাধিক সুত্রে জানা গেছে। তবে, বিদেশ ফেরতদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস ও তার মেডিকেল টিম যথেষ্ট ততপর বলে জানা গেছে। গতকাল পর্যন্ত বিদেশ ফেরত ৩১৮ জনের মধ্যে ১৫১ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস। এ ছাড়া বাকিদের সন্ধান না পাওয়ায় তাদের খোজা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
করোনা ভাইরাস আতঙ্কে সাধারণ মানুষের অস্থিরতার সুযোগে কৃত্রিম সংকট সৃস্টি করে চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিশেষ করে মোটা চালের দাম কেজি প্রতি ৮/১০ টাকা বৃদ্ধি করায় দিনমজুর/গরীব মানুষরা পড়েছে বিপাকে। এ অবস্থার উত্তোরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকি জোরদার করার দাবী জানিয়েছেন অনেকে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাফ্ফারা তাসনীন বলেন-তিনি সকাল থেকে গাড়ফা বাজার, চুনখোলা বাজার, চরকুলিয়া বাজার ও নগরকন্দি বাজারসহ অধিকাংশ বড় বাজার মনিটরিং করছেন। সবগুলো বাজার মনিটরিংসহ বাজার ব্যাবস্থা সাভাবিক করতে তিনি ততপর/বদ্ধপরিকর।
উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুল আলম ছানা বলেন-যে কোন বিপদ-আপদ মোকাবেলায় সচেতনতা জরুরী। যেহেতু করোনা ভাইরাসের সুনির্দিস্ট কোন ঔষধ/চিকিৎসা নেই, সেহেতু এক্ষেত্রে সচেতনতার বিকল্প নেই। তাই সকলকে সচেতন থাকার আহবান জানান তিনি।