গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে অপহরণ করে ঘরের মধ্যে আটক রেখে শারীরিক নির্যাতন ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টায় থানায় অভিযোগ।
অভিযোগে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের ধারাইকান্দী গ্রামের নজরুল ইসলামের কন্যা ববিতা বেগমকে প্রায় ৬/৭ বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী পলাশবাড়ী উপজেলা মনোহরপুর গ্রামের গাজী মন্ডলের ছেলে লম্পট বাবু মন্ডল মোবাইল ফোনে কথাবার্তা বলার মাধ্যমে হীন চরিত্রার্থে ফুসলাইয়া অপহরণ করে নিয়ে সম্মতি ছাড়াই বিবাহ করে। এরপর এক দেড় মাস ঘর সংসার করার পর মোটা অংকের যৌতুকের দাবীতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। ববিতা বেগম নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাবার বাড়ীতে ফেরত আসায় বাবু মন্ডল তাতে তালাক প্রদান করে। এর কিছু দিন পর ববিতাকে তার পরিবার তাদের নিজ গ্রামের আসাদুলের ছেলে সুজা ইসলামের সহিত দ্বিতীয় বিবাহ দেন। সেই থেকে ববিতা ও তার স্বামী সুজা ইসলাম সুখ শান্তিতে দাম্পত্য জীবন যাপন করে আসছে। তাদের ঘরে একটি ৩ বছরের ১ টি কন্যাসন্তান রয়েছে। তাদের সুখ শান্তিতে লম্পট বাবু মন্ডল ঈর্শান্বিত হয়ে জীবন নষ্ট করার জন্য গত ৯ মার্চ/২০২০ তারিখে পুনরায় ববিতাকে অপহরণ করি বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে ঘওে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন ও পরনের কাপড়ে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে ববিতা বেগম তার পরিবারের নিকট সুকৌশলে খবর দেয়। খবর পেয়ে ববিতার পরিবার গোবিন্দগঞ্জ থানায় বিষয়টি অবগত করলে গত ১৫ মার্চ এস আই রানাসহ সঙ্গীয় ফোর্সের সহযোগিতায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পপ্লেক্রে ও পরে বগুড়া (শ জি মে ক) হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে ববিতার ভাই আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে বাবু মন্ডল ও সহযোগী ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।