গোটা বিশ্বকে স্তব্ধ করে দিয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। চীন থেকে এ ভাইরাসের উৎপত্তি হলেও বর্তমানে মৃতের সংখ্যায় এক নম্বরে ইতালি। সমগ্র ইউরোপ জুড়েই এখন করোনার ভয়াল থাবা পড়েছে। আর এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে ২ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এ ভাইরাসে। তারমধ্যে প্রাণ হারিয়েছে ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ। ইতোমধ্যে করোনার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশে। একজনের মৃত্যুও হয়েছে।
এমন আতঙ্ক এখন বিরাজ করছে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার জনসাধারণের মাঝে। শুধু জনসাধারণই না চিকিৎসকরাও রয়েছেন বিপাকে।
উপজেলার গ্রামগঞ্জে সাধারণ জনগণের মাঝে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে নেই কোন ধ্যান ধারনা। অনেকেই সর্দিকাশি ও জ¦র হলেই করোনা আতঙ্কে হাসপাতালে ছুটে আসছেন। কিন্তু হাসপাতালে এ ভাইরাস শনাক্তকরণের কোন প্রকার কিট না থাকায় এ সকল রোগীরা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন বাড়ীতে।
চিলমারী হাসপাতাল থেকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে জনসাধারনের সচেতনতার জন্য মাইকিং করে প্রচারনা চালাচ্ছেন। এমনকি চিলমারী হাসপাতালের ০১৭৩০৩২৪৬৫৭ নম্বরে ডায়াল করে এ ভাইরাস সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারেন। এছাড়াও করোনা ভাইরাস রোগীদের আলাদা কর্নার চালু করা হয়েছে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা ও প্রচার প্রচারনা চালালেও রোগ শনাক্তকরনের প্রয়োজনীয় কিটস্ ও পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুপমেন্ট (পিপিই) না থাকায় তারাও রয়েছেন আতঙ্কে।
এ বিষয়ে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, প্রয়োজনীয় কিটস্ ও পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুপমেন্ট (পিপিই) সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী বরাদ্দের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
এ পর্যন্ত চিলমারীতে বিদেশ ফেরত ৬৭ জনের খবর পাওয়া গেছে। তারমধ্যে ৩৫ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বাকিদের হোম কেয়ারেন্টাইনে আনার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসন।
এ নিয়ে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ, ডব্লিউ, এম রায়হান শাহ্ বলেন, মহামারি এ ভাইরাস সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করার জন্য আমি ইতোমধ্যে উপজেলার সব মসজিদের ইমামদেরকে বলে দিয়েছি তারা যেন খোতবা চলাকালিন সময়ে মুসল্লিদের এ ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনামুলক বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও আমি বর্তমানে সরকারি সামাজিক কর্মকান্ডগুলোতে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করে সব ধরনের প্রচারনা চালাচ্ছি তারা যেন আতঙ্কিত না হয়। একদিকে করোনা আতঙ্কে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৩ গুণ। ৩০ টাকার পিাঁয়াজ মাত্র ২৪ ঘন্টায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ থেকে ৬০টাকা প্রতি কেজিতে। চালের দাম ৫০ কেজির বস্তায় বেড়েছে ৩‘শ টাকা। রসুনের দাম বেড়েছে ৬০টাকার স্থলে ১২০ টাকায়। অন্যান্য জিনিসপত্রের দামও বেড়েছে একই হারে। বাজারে মনিটরিং এর কোন ব্যবস্থা না থাকায় ব্যবসায়ীরা দাম হাঁকাচ্ছেন ইচ্ছামতো।