ফরিদপুরের মধুখালীতে উপজেলা প্রশাসনের প্রচার ও নির্দেশ মানছেন না ব্যবসায়ীরা। কিছু অসৎ লোকে গুজব ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্তিতে ফেলেছে। যার আধামণ দরকার সে ৩মণ ক্রয় করছেন। বৃহস্পতিবার থেকে হঠাৎ চাল ডাল সবজিসহ বিভিন্ন পণ্য ক্রয়ের হিরিক পরে যায়। প্রতিমন চাউলের দাম ২‘শ থেকে ২‘শ ৩০টাকা বেশী দরে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। দুই ঘন্টার মধ্যে বাজার চাউল শূণ্য হয়ে যায়। শুক্রবার সকাল থেকে চাউলের দাম আরও বেড়ে যায় সংকট হয়ে পরে চালের। যে পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়। শুক্রবার হাটে সেই পেঁয়াজ ৬০ টাকা থেকে ৭০টাকায় (প্রতিমণ ২৪০০ টাকায়) বিক্রি হতে দেখা যায়। আর ১৭০০ টাকায় প্রতিমণ রশুন বিক্রি হচ্ছে ৩২০০টাকায়। এ ছাড়া বিভিন্ন পন্য কেনার হিরিক পরে যায়্ মানুষ এদিক বিদিক ছুটতে দেখা যায় মধুখালী বাজারে। যেন আর পাওয়া যাবে না কোন পন্য। এছাড়া অন্যান্য পণ্যও অধিক দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ সব গুজবে কান না দেওয়ার জন্য মাইকে প্রচার করলেও কে শুনে কার কথা। অবশেষে শুক্রবার জুম্মার নামাজ এর মধ্যে বাজার ভিত্তিক বিভিন্ন বড় বড় মসজিদে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তফা মনোয়ার উপস্থিত হয়ে সাধারণ জনগণকে শুধু প্রয়োজনের অধিক ক্রয় না করার পরামর্শ এবং ব্যবসায়ীদের প্রতি বেশী দামে পণ্য বিক্রি না করা অনুরোধ জানান। নচেৎ সরকার আইনী ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে ।
এছাড়া মধুখালী পৌর মেয়র খন্দকার মোরশেদ রহমান লিমন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে প্রতিদিন সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন পৌর সভা এলাকায়। শুক্রবার থেকে ফরিদপুর-১ আসনের এমপি মো. মনজুর হোসেনের পক্ষে মধুখালী উপজেলা যুবলীগ এর সভাপতি মো. সহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মির্জা আহসানুজ্জামান আজাউল করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।