কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলা সাব-রেজিষ্টার অফিসে ৩ যুগ আগে মৃত্যু বরণ করা দৌলতবি নেছা নামের এক নারীকে জীবিত দেখিয়ে তার নামীয় জমি বিক্রি ও দলিল সম্পাদন করার দায়ে সাব-রেজিষ্টারসহ ৮ জনের নামে থানায় ও কোর্টে নিয়োমিত মামলা রুজু হয়েছে। মৃত্যু দৌলতবি নেছার স্বজন আবদুল করিম বাদী হয়ে মামলা করেন। এ নিয়ে প্রায় ২ মাস যাবত এলাকায় তোলপার চলছিল। উপজেলা সাব-রেজিষ্টার নজরুল ইসলাম মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ওই জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ছিলেন বলে অভিযোগ জানা গেছে। উল্লেখ্য গত ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০খ্রি: ঘটনাটি ফাসঁ হওয়ার পর এলাকায় নানা জল্পনা-কল্পনা ও ক্ষোপের সৃষ্টি হয়।
উল্লেখ্য উপজেলার সদর ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের নহর শেখের স্ত্রী দৌলতবি নেছা মৃত্যু বরণ করেণ অনেক আগে। তার নামে ০.৫৪ একর আবাদি জমির মধ্যে ০.৫০ একর জমি বিক্রি দেখানো হয় ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকায়। ক্রেতা হিসেবে ওই জমি গোল্ডেন লাইফ একাডেমি নামের এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে দলিল সম্পাদন করা হয়। ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ইসমাইল হোসেন দলিল লেখক নুরনবী (সনদ নং-৩৭/২০০৭ইং)সাথে যোগসাজসে ওই জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ওই কু-কর্মটি করেন। এতে জমির দাতা দৌলতবি নেছাকে জীবিত দেখিয়ে ০.৫০ একর জমির দলিল সম্পাদন করা হয় গত ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০খ্রি:। যার দলিল নম্বর -১৩১/২০। ওই জালিয়াতির বিরুদ্ধে আবদুল করিম গত ৭ ফ্রেরুয়ারি/২০খ্রি: চর রাজিবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এ ছাড়া ২৬ ফ্রেরুয়ারি/২০খ্রি: কুড়িগ্রাম বিজ্ঞ আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করে চর রাজিবপুর থানাকে আসামীদ্বয়ে বিরুদ্ধে দন্ডবিধি- ১৪৩,৪৪৭,৪৬৫,৪৬৭,৪৬৮/৩৪ ধারা মোতাবেক নিয়োমিত মামলা হিসেবে রুজু করার জন্য আদেশ দেন এবং তা ১০ কার্য দিবসের মধ্যে আদালতকে অবহিত করার নির্দেশ দেন।। চর রাজিবপুর থানা বাদীর কোর্ট পিটিশন প্রসেস প্রাপ্ত হয়ে ১৫/০৩/২০২০খ্রি: মামলাটি রুজুু করেন। যার নম্বর-০৫। আসামীগণ হলেন- দলিল গৃহিতা গোল্ডেন লাইফ একাডেমি পরিচালক মো: ইসমাইল হোেেসন(৩৫),মোছা: জহুরা খাতুন(৫০),দলিল লেখক মো: নুরুন্নবী সরকার (৪০),সাব-রেজিষ্টার মো: নজরুল ইসলাম(৫৫), অফিস সহকারী লুৎফর রহমান (৫৫),আব্দুস ছালাম (৪০),কবির হোেেসন (৩৫),শফিকুল ইসলাম (৩৫) দলিল স্বাক্ষী প্রমুখ। বর্তমানে চর রাজিবপুর সাব-রেজিষ্টার অফিস বন্ধ রয়েছে। আসামীদ্বয় পলাতাক রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।