করোনাকে পুজি করে নিত্যপণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয়ায় রংপুরের নবাবগঞ্জ বাজারের ৩ ব্যবসায়ীকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানর প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ধর্মঘটে নেমেছে। ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটে সচেতন মানুষের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলাবলি করছে এটি চোরের মায়ের বড় গলা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, শনিবার সকালে জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার নগরীর নবাবগঞ্জ বাজারে অভিযান চালায়। এ সময় চাল, ডাল, তেল বিক্রির ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা করে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাদের দোকানে কোন মূল্য তালিকা ছিলনা। বেশি দামে তারা চাল,ডাল বিক্রি করছিল। এ ছাড়া তারা মালামাল ক্রয়ের চালান দেখাতে পারেনি ভ্রাম্যমান আদালতকে।
এদিকে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের প্রতিবাদ জানিয়ে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রেখে ধর্মঘটে করে। ব্যবসায়ীদের এহেন আচরণে রংপুরের সচেতন মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। গত ৪ দিনের ব্যবধানে নবাবগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীরা ৫০ কেজি বস্তার চালের দাম বাড়িয়েছে ৩’শ থেকে ৪’শ টাকা। সোয়াবিন তেল ও ডালের দাম প্রতি কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বাড়িয়েছে। এতে ক্রেতা সাধারণের নাভিশ্বাস উঠেছে। ব্যবসায়ীদের নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির খবরে মাঠে নামে জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংগঠন। তারা নগরীর বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। নবাবগঞ্জ বাজারে ৩ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হয়ে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেন। ব্যবসায়ীদের এমন কান্ডে নগরজুড়ে ক্ষোভ নিন্দার ঝড় উঠে।
রাজনীতিবিদ পলাশকান্তি নাগ, সমাজকর্মী হুমাযুনকবির, গৃহনী মনিরা বেগমসহ অনেকেই জানালেন, ব্যবসায়ীরা করোনা ভাইরাসের সুযোগ নিয়ে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি করেছে। যা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায়না। তারা জেলা প্রশাসনের এধরণের অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি জানান।
নবাববগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জানান, চালসহ অন্যন্য নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিার জন্য ব্যবসায়ীরা দায়ি নয়। যারা দাম বাড়াচ্ছে তাদের না ধরে সাধারণ ব্যবসয়ীদের জরিমানা করা হচ্ছে। এটি অন্যায়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এনামুল কবির জানান, আমরা ভোক্তা অধিকার আইনে ব্যবসায়ীদের জরিমানা করেছি। তারা বেশি দামে পণ্য কিনেছেন এমন কোন চালান দেখাতে পারেননি।