ঝালকাঠির রাজাপুরে ডহরশংক হাইলাকাঠি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটিতে বিতর্কিত ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে ভুয়া ভোটার তালিকা সংশোধন করে মঠবাড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল সিকদারকে সভাপতি হিসেবে দাবী করেছেন মাদ্রসার অভিভাবক সদস্যরা। মাদ্রসার অভিভাবক সদস্য আবুল হাওলাদার, মোস্তফা আকন, আনিচা বেগম, হারুন মিস্ত্রী ও মোশারেফ হাওলাদার এমন দাবী জানিয়েছেন।
দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সভাপতির পদে থাকা রাজাপুর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. সবুর হাওলাদার প্রতিষ্ঠানে কোন উন্নয়ন না করে প্রতিষ্ঠানের তহবিল আত্মসাৎ করায় অভিভাবক ও স্থানীয়রা তার উপর ক্ষিপ্ত রয়েছে। মাদ্রসার সুপার মো. মাহবুবুর রহমানের সাথে যোগসাজশে তিনি একাধিকবার সভাপতি হয়ে এসব অপকর্ম করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। এছাড়াও মাদ্রসার সভাপতি ও সুপারের বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময় শিক্ষক নিয়োগেরও অভিযোগ রয়েছে। তারা অভিযোগ করে বলেন প্রথম শ্রেণী থেকে দাখিল শ্রেনী পর্যন্ত ৬০/৭০ জন শিক্ষার্থী থাকলে ভোটার রয়েছে ৩৭৯ জন।
১২ মার্চ মাদ্রসার অভিভাবকদের পক্ষে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের নিকট পুর্ব ইন্দ্রপাশা গ্রামের আবদুল মালেকের পুত্র মো: কাওসার আকন ও হাইলাকাঠি গ্রামের শাহজাহান চৌকিদারের পুত্র কামরুল হাসান রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
তাদরে লিখিত অভিযোগে জানাযায় কোন প্রকার নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতার অপব্যাবহার করে মাদ্রসার সুপার মো. মাহবুবুর রহমানের সহযোগীতায় ১০ বছর ধরে সভাপতি পদে রয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি নেতা আবদুস সবুর হাওলাদার। নির্বাচনের আগে ভূয়া ভোটার তালিকা তৈরী করে তিনি বারবার এই মাদ্রাসার সভাপতি হয়ে আসছেন।
এছাড়া সভাপতি ও সুপার মিলে শিক্ষক নিয়োগেও ঘুষ বানিজ্য করেছেন। জাল জালিয়াতি করে ৩ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে প্রত্যেক জনের কাছ থেকে ৬ লাখ করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। মাদ্রসার সুপার মাহবুবুর রহমান মাদ্রসার রিজার্ভ ফান্ডের ১ লাখ টাকা ও মাঠ ভরাটের জন্য বরাদ্দ পাওয়া ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা আত্বসাৎ করেছেন।
কাওসার আকন জানান আবু হানিফা নামে একজন শিক্ষক মাদ্রসায় কর্মরত থাকাকালে শেখ নাসিরকে জালজালিয়াতি করে নিয়োগ দেওয়া হয়। যাহা নিয়ম বর্হিভূত। কোন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাপা হয়েছে তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. সবুর হাওলাদার বলেন সভাপতি হিসেবে এলাকাবাসী না চইলে আমি থাকবনা। ভুয়া ভোটার তালিকা দিয়েতো সভাপতি হওয়া যায়না। সদস্যরা সভাপতি নির্বাচিত করে। আমার প্রতিপক্ষরা এসব মিথ্যে অভিযোগ করছেন।
মাদ্রাসার সুপার মাও. মাহবুবুর রহমান বলেন, ৩১ মার্চ মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নিয়ম মেনেই সকল নিয়োগ প্রক্রিয় সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে এ মাদ্রসার অফিস সহকারী নাসির উদ্দিন সুপারের বক্তব্যে দ্বিমত পোষন করে বলেন, মাদ্রাসার সকল নিয়োগ কার্যক্রম সুপারের বাসায় বসে রাতে ও বিকেলে করা হয়েছে।