আধুনিক সুযোগ- সুবিধা সম্বলিত আর্ন্তজাতিক মানের গ্রাম্য বাজার ভিলেজ সুপার মার্কেটটিতে দিন দিন ক্রেতা- বিক্রেতার আগমন বাড়ছে। এই মার্কেটটিতে একই স্থানে ব্যাংকিং সুবিধা, হিমাগার, গেস্ট হাউস, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা নিয়ে প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মার্কেটটি চালু হয় ২০১৮ সালের ২৭ আগস্ট। বাংলাদেশ সরকার ও নেদারর্যান্ড সরকারের সহযোগিতায় একটি বেসরকারী সংস্থা এই মার্কেটটি প্রতিষ্ঠা করেছে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের তিনটি জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা ও যশোর জেলার মাছ চাষী, সবজি চাষী ও দুগ্ধ খামারীরা ন্যায্যমূল্যে তাদের উৎপাদিত পন্য সামগ্রী এই বাজারে বিক্রি করতে পারেন। ন্যায্য মূল্য পেয়ে বিক্রেতারা বেজায় খুশী। মার্কেটটিতে রয়েছে সিটিটিভি ক্যামেরা, নিরাপত্ত্বা কর্মী তাই কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই ক্রেতা- বিক্রেতারা তাদের পন্য ক্রয়-বিক্রয় করতে পারছেন। ব্যাংকিং সেবা চালু থাকায় কাছে নগদ টাকা না নিয়ে আসলেও তাদের চলে। ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করে পন্যের মূল্য পরিশোধ করতে পারেন।
ভিলেজ সুপার মার্কেটে মাছ বিক্রি করতে আসা সাহস গ্রামের নারী উদ্যোক্তা রিতা রানী রায় চৌধূরী বলেন তার মাছ, সবজি ও ডেয়ারি খামার রয়েছে। ওই খামারে উৎপাদিত পন্য ভিলেজ সুপার মার্কেটে বিক্রি করে বেশ ভাল মূল্য পাই।
ডেয়ারি খামার ব্যবসায়ী দলের নেতা গোনালী গ্রামের বিকাশ কুমার মল্লিক বলেন বাজারে বর্তমানে প্রতি লিটার দুধের মূল্য ৩৫/৪০ টাকা। অথচ আড়ংয়ের দুধ সংগ্রহ কেন্দ্রে প্রতি লিটার দুধ বিক্রি হচ্ছে ৬০/৬৫ টাকা। তাছাড়া এখানকার দুধ মানসম্মত ও ভেজাল মুক্ত।
আড়ংয়ের দুধ সংগ্রহ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো: মনোয়ারুল হক বলেন, খামারীদের কাছ থেকে দুধের গুনাগুণ পরিক্ষা করে ভেজালমুক্ত দুধ কেনা হয়। সেটি শীতলীকরণ করে আড়ংয়ের কেন্দ্রীয় সংগ্রহ কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
ভেটেরিনারী সার্জন ডা: পাপিয়া সুলতানাআধুনিক ভিলেজ মার্কেটটিতে রয়েছে ভ্যাটেরিনারী সার্জন। যিনি দুগ্ধ খামারীদের গাভীর চিকিৎসা সেবা, পারামর্শ দিয়ে থাকেন।
চেয়ারম্যান শেখ দিদারুল হোসেন বলেনদক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কৃষি ও মৎস্য সম্পদে ভরপুর খুলনা জেলায় এমন একটি বাজার প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন খুলনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো: নজরুল ইসলাম। তিনি খুলনা- সাতক্ষীরা মহাসড়কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই মার্কেটটি গড়ে ওঠায় ওই এলাকার এই জনপ্রতিনিধি কর্তৃপক্ষের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
খুলনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো: নজরুল ইসলামআধুনিক মাকেটটি প্রতিষ্ঠাকারী বেসরকারী সংস্থার পক্ষে প্রকল্প সমন্বয় কারী জানান, এই মার্কেটটিতে ২০টি মাছ ক্রয় বিক্রয় কেন্দ্র, ১০টি সবজি ক্রয়-বিক্রয় কেন্দ্র, আড়ংয়ের দুধ সংগ্রহ কেন্দ্র।
ভিলেজ সুপার মার্কেটের প্রকল্প সমন্বয়কারীমো: ইকবাল হোসেন বলেন, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া, সাতক্ষীরা জেলার তালা, যশোর জেলার কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের উৎপাদিত মাছ, সবজি ও দুধ এই মার্কেটে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারবে। এখানে নগদ টাকা সাথে আনার প্রয়োজন নেই। ব্যাংখ এশিয়ার এটিএম বুধ থেকে টাকা উত্তোলন করে দাম দিতে পারবেন।