করোনা ভাইরাস আতঙ্কে কেন্দ্র করে রাঙ্গামাটি বিভিন্ন বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করেছে স্থানীয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। আর কৃত্রিম সংকট মোকাবিলায় রাঙ্গামাটিতে বিভিন্œ বাজারে অভিযান ও প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (২২ মার্চ) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের মোবাইল টিম ও প্রচার প্রচারণা কার্যক্রম অংশ হিসেবে শহরের বাজারগুলোতে দ্রব্যমূল্য মনিটরিং করতে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ইসলাম উদ্দিনের নেতৃত্বে রাঙ্গামাটি শহরের প্রধান তিনটি বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।
এ সময় বাজারের বেশ কয়েকটি দোকানদারকে দ্রব্যমূল্য বেশী রাখার দায়ে জরিমানা এবং মালয়েশিয়া ফেরত একজনকে হোম কোয়ারেন্টাইন অমান্য করায় ২ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়।
অভিযানে অংশ নেয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইসলাম উদ্দীন বলেন, রাঙ্গামাটির শহরের বিভিন্ন বাজারগুলোতে কৃত্রিম সংকট ও কোন প্রবাসী কোয়ারেন্টাইনে না গিয়ে পরিচয় গোপন রেখে প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আর এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
রাঙ্গামাটি শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। তবে ক্রেতারা বাড়তি পণ্য ক্রয় করার কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই পণ্যের কৃত্রিম সংকট দেখা দিতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে রাঙ্গামাটি বানিজ্যিক এলাকা খ্যাত বনরুপা বাজারের ব্যবসায়ী আবছার বলেন, চাল ডাল, পিয়াজ একমাসের মজুদ করে রেখেছিলাম। দুই-তিনদিনের মধ্যে এইসব নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি শেষ হয়েছে। এখন চট্টগ্রাম থেকে বেশী দামে এনে বিক্রি করতে হচ্ছে।
কাঠালতলীর মুদি দোকানদার রাশেদ জানায়, আমরা মাসের প্রথম সপ্তাহে নিত্য প্রয়োজনীয় চাল, ডাল, পিয়াজ ও গ্যাস মুজদ করে রেখেছি। সাধারণ মানুষ করোনা আতঙ্কে সব ক্রয় করে বাসায় মজুদ করে রাখছে।
ভেদভেদী পাইকারী মুদি ব্যবসায়ী আজগর আলী বলেন, পাহাড়ী-বাঙ্গালী উভয়ে এক কেজি আলু ক্রয় করে তারাও এক বস্তা আলু ক্রয় করেছে। যারা দৈনিক এক কেজি চাল কিনতেন, তারাও এখন এক বস্তা চাল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আগামী ছয় মাসেও তারা খেয়ে এগুলো শেষ করতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে। আমরা তাদেরকে বারণ করেও ক্রেতাদের বোঝাতে পারছি না। ফলে বাজারে পণ্যের সংকট তৈরি হচ্ছে। ফলে বাজারে খাদ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরী করেছে।
এদিকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে তথ্য অফিসের উদ্যোগে শহরের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হচ্ছে।