বগুড়ার শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিয়াকত আলী সেখ মরণঘাতী ভাইরাস নভেল করোনা(কোভিট-১৯) প্রতিরোধে উপজেলা জুড়ে জনসচেতনতায় কাজ করে চলছেন নিরলস ভাবে। প্রতিনিয়ত মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তিনি সচেতনতার বাণী শুনাচ্ছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিয়াকত আলী সেখ প্রতিদিন
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রবাসীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের খোঁজ খবর রাখেন এবং সবাইকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। নিয়মিত উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাট বাজার ও এলাকার লিফলেটের মাধ্যেমে জনসচেতনতা প্রচার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও উপজেলা জুড়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সবাইকে সচেতন হতে আহবান জানানো হচ্ছে। কেউ কোন রকম গুজব ছড়াবেন না, কান দেবেন না, জনসমাগম এড়িয়ে চলুন, হাত মেলানো কোলাকুলি বিরত রাখুন। হাত ধুলে বার বার, ঝুঁকি কমে করোনার। সাধারন মানুষের মাঝে করোনাভাইরাস ছড়ানোর বিষয় তুলে ধরে এবং লক্ষন গুলো সম্পর্কে অবহিত করে তিনি বলেন-নিজে অথবা পরিবারের কেউ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে এমন আশঙ্কা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগ করে যতদ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বিস্তাররোধে সব ধরনের সামাজিক,রাজনৈতিক,ধর্মীয় ও সাস্কৃতিক গণজমায়েত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,কোচিং সেন্টার,ব্যাচে প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ করাসহ সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিচ্ছেন তিনি। অপরদিকে,করোনাভাইরাসের আতঙ্ককে পুঁজি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পেঁয়াজ ও আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মজুত করে বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে আলু ও পেঁয়াজের আড়ত সহ দোকানে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিয়াকত আলী সেখ এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিয়াকত আলী সেখ বলেন, করোনা আতঙ্কে সারা বিশ্ব এখন টালমাটাল অবস্থা। এর মধ্যেও কিছু সিন্ডিকেট উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়াচ্ছে, তারা বিবেকহীন, দেশ, জাতি ও মানবতার শত্রু। জেল জরিমানা সহ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। জনস্বার্থে মনিটরিং টিম এবং মোবাইল কোট্রের অভিযান অব্যাহত থাকবে।