বেতনভাতা বৃদ্ধি এবং শ্রমিকদেরকে হয়রানির মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবিতে অনন্যা সুপার বাস বন্ধ করে দিয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলা মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিক নেতারা। রোববার সকালে গাইটাল আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে বিক্ষোভ করেন শ্রমিক নেতা ও কর্মচারীরা।
রোববার সকালে গাইটাল আন্তঃ জেলা বাস টার্মিনালে শ্রমিক ও শ্রমিকনেতারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে গাইটাল আন্তঃ জেলা বাস টার্মিনানের অনন্য সুপার সার্ভিসের কাউন্টার বন্ধ করে দেন। ফলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ আন্তঃ জেলা বাস টার্মিনাল থেকে অনন্য সুপারের কোন বাস ছেড়ে যায়নি, এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ জেলা মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রচার সম্পাদক মোঃ দ্বীন আল ইসলাম উজ্জল, সিনিয়র শ্রমিক ও শ্রমিক নেতা মোঃ ইউনুস আলী, শ্রমিক নেতা মোঃ ফজলে কিবরিয়া সুজন,সিনিয়র শ্রমিক সোহাগ মিয়া প্রমুখ।
এসময় বক্তারা শ্রমিক ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত শ্রমিক আজিজুল হাকিমের মুক্তি কামনা করে শ্রমিক মকবুল হোসেন, জাহেদ এবং খাইরুলর বিরুদ্ধে চাদাবাজির মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান। সেই সাথে শ্রমিকদের বেতনভাতা বৃদ্ধি চেয়েছেন। বেতন ভাতা বৃদ্ধি না করলে ও শ্রমিকদের হয়রানীমুলক চাঁদাবাজির মামলা তুলে না নিলে লাগাতার কর্মবিরতীতে যাওয়ার হুশিয়ারী দিয়েছেন শ্রমিক ও শ্রমিক নেতারা।
অনন্য সুপার সার্ভিসের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ শাহজাহান লস্কর সাংবাদিকদের বলেন, আমি এসব বিষয়ে কিছু জানি না। আমার সাথে আলোচনা না করেই এরা আন্দোলন করছে। চাঁদাবাজির অভিযোগে তাদের নামে থানায় মামলা রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির আহ্বায়ক লেলিন রায়হান শুভ্র শাহীন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শ্রমিকদের বিষয়টা আমি জেনেছি তারা বেতনভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করছে। শ্রমিকদের বেতনভাতা বৃদ্ধি এবং হয়রানীর প্রতিবাদের বিষয়ে আমাদেরকে শ্রমিক নেতারা জানায়নি। তবে তাদের বেতন বৃদ্ধির বিষয় মটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের আমাদের নয়।
কিশোরগঞ্জ জেলা মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও প্রচার সম্পাদক মোঃ দ্বীন আল ইসলাম উজ্জ্বল চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য একজন যাত্রী আগে ভাড়া দিত ২০০ টাকা। এখন তা বৃদ্ধি পেয়ে ২৫০ টাকা করা হয়েছে, কিন্তু যাত্রীসেবা এবং শ্রমিকদেরকে মানোনোন্নয়ন এবং তাদের বেতনভাতা বৃদ্ধি করে নাই কোম্পানি। তাদের দাবি, সরকারি চার্ট হিসেবে তাদেরকে বেতন দেওয়া হোক। দাবি না মানলে আন্দোলন চালিয়ে চাওয়ার ঘোষণা দেয় শ্রমিক নেতারা।
কিশোরগঞ্জ মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ আবদুল কাইয়ুম মিয়ার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।